জেলা প্রতিনিধি, বান্দরবান: বান্দরবান সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর সঙ্গে স্থানীয় গ্রুপ আরাকান আর্মির সংঘর্ষের জেরে পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সীমান্ত সড়কের উন্নয়নের কাজও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সীমান্তে লোকজনদের যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
স্থানীয়রা বলছেন, রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) থেমে থেমে তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের ঢেকিবনিয়া ও ফকিরাবাজার এলাকায় গোলাগুলি আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। এটি দুই দেশের সীমান্ত পিলার ৩১-৩৫ মধ্যবর্তী স্থান। এপারে তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়েছে।
মিয়ানমারে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে বাংলাদেশ সীমান্ত
ঘুমধুম এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রটি সীমান্ত লাগোয়া হয়ায় অনাকাঙঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে ৫০২ পরীক্ষার্থীকে সেখান থেকে সরিয়ে নিরাপদ কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, ঘুমধুম সীমান্তে কোনো গোলাগুলি না হয়ায় পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বিজিবি নিরাপত্তা ও টহল জোরদার রেখেছে।
এদিকে ঘুমধুম সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর পাঁচটি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে।
সীমান্তে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তন
বন্ধ স্কুলগুলো হলো- ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার বাঁইশ পারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ গুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া একটি মাদ্রাসা ও একটি উচ্চ বিদ্যালয়ও বন্ধ রয়েছে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়া পর্যন্ত সীমান্তবর্তী স্কুলগুলো বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বান্দরবান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনী এবং নাইক্ষ্যংছড়ি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ত্রিরতন চাকমা।
স্বাআলো/এসআর