আজাদুল হক, বাগেরহাট: জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহে প্রতিবাদ করায় ওই ছাত্রীর পিতা কর্তৃক স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি লাঞ্চিত হয়েছেন।
এ ঘটনায় ক্ষুব্দ সিএইচসিপি আবু বকর সিদ্দিক মোড়েলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ওই অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের বানিয়াখালী গ্রামের বাবুল শিকদারের মেয়ে পাশ্ববর্তী শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা মাধ্যমিক বিদ্যায়ের ১০ শ্রেণিতে পড়ে। তাকে পারিবারিকভাবে খোন্তাকাটা গ্রামের আবু মুসা খানের সাথে সম্প্রতি বিবাহ দেয়। কিন্তু এ বাল্যবিবাহের কুফল ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সরকারের প্রচলিত আইন বিষয়ে মেয়েটির পিতাকে বুঝানোর চেষ্টা করলে পিতা বাবুল শিকদার স্থানীয় বানিয়াখালী বড়পরী কমিউনিটি ক্লিনিকের (সিএইচসিপি) আবুবকর সিদ্দিককে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দসহ লাঞ্ছিত করেন। এতে স্থানীয়ভাবে সকলের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ আবু বকর সিদ্দিক এ ঘটনা লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান।
খোন্তাকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃনাল কান্তি দাস বলেন, বাবুল শিকদারের মেয়ে তার বিদ্যালয়ে ১০ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত। সে ২৩ জানুয়ারি থেকে অনুপস্থিত। তবে, বিবাহ হয়েছে কিনা সে বিষয়ে তিনি জানেন না।
বাগেরহাটে গৃহবধুর বিষপানে আত্মহত্যা
অভিযোগকারী সিএইচসিপি আবুবকর সিদ্দিক বলেন, বাল্যবিবাহের বিষয় স্কুলছাত্রীর পিতাকে অবহিত করা হলে ওই পিতা তার ওপর চড়াও হয়ে গালমন্দ করেন এবং তাকে উল্টো হয়রানির করার হুমকি দেয়।
মেয়েটির মা লাভলী খানম বলেন, তার মেয়ের শুধুমাত্র বিবাহের কথা হয়েছে। অনুষ্ঠানিকভাবে নিকাহ রেজিস্ট্রি করা হয়নি। আবুবকরের সাথে তাদের কোনো গালমন্দের ঘটনা ঘটেনি।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম তারেক সুলতান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়ে অভিযোগটি তদন্তের জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
স্বাআলো/এস