খুলনার সাংবাদিক জলিলের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি

খুলনা ব্যুরো: খুলনা প্রেসক্লাবের সহকারী সম্পাদক এমএ জলিলকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেফতার এবং কল্প কাহিনী সাজিয়ে মাদক মামলা দায়ের করে কারাগারে পাঠানোর তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও কঠোর সমালোচনা করেছেন খুলনার কর্মরত সাংবাদিকরা।

আজ সোমবার দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে খুলনার কর্মরত সাংবাদিকদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সোর্সদের মাধ্যমে মাদক বিকিকিনির পথ পরিষ্কার করতে যেভাবে সাংবাদিক এমএ জলিলকে হয়রানিমূলক মামলায় ফাঁসিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তাতে সমগ্র সাংবাদিক সমাজ আতঙ্কিত। মাদক নির্মূলে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি ভেস্তে দিয়ে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী মাদক বিক্রেতাদের লালন-পালন করছেন বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের ব্যুরো প্রধান কাজী মোতাহার রহমান বাবু। দৈনিক কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক কৌশিক দে বাপী ও দৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার হাসান হিমালয় মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন।

আরো পড়ুন>>>এইচএসসি ফল ১৭ জুলাই

সাংবাদিক নেতারা বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অসাধু সোর্স ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিতভাবে সৎ, পেশাদার ও কর্মনিষ্ঠ সাংবাদিক এমএ জলিলের বাড়িতে অভিযান চালায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। তারা শার্টার ভেঙ্গঙ ও দেয়াল টপকে বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করে। একপর্যায়ে সাংবাদিক এম এ জলিলের বাড়ির পাশে ড্রেন থেকে ১০ বোতল পরিত্যক্ত ফেনসিডিল উদ্ধার দেখিয়ে তাকে আটক করে । ঘটনাস্থল ও মামলার এজাহারেই প্রমাণিত হচ্ছে ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো ষড়যন্ত্র; এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে সাংবাদিক নেতারা পরিবারের বরাত দিয়ে দাবি করেন।

বক্তারা বলেন, সাবেক সেনা সদস্য ও ক্রীড়া সংগঠক এমএ জলিলের মতো সজ্জন এবং পরোপকারী ব্যক্তির পক্ষে কোনোভাবেই মাদক বিক্রি ও বিক্রিতে প্রশ্রয় দেয়া সম্ভব নয়। স্থানীয় চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কথিত সোর্সের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জেরধরে মামলার রসদ ঘটনাস্থলে রেখে পূর্বপরিকল্পিত সাজানো মামলায় একজন সৎ সাংবাদিককে জড়ানো হলো।

বক্তারা খুলনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সকল সংবাদ বর্জনের ঘোষণা দেন।

মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন খুলনা প্রেসকাবের সহ-সভাপতি ও দৈনিক মানবজমিনের ব্যুরো প্রধান রাশিদুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাপ্তাহিক আমাদের খুলনার চীফ রিপোর্টার হাসান আহমেদ মোল্যা, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি আবুহেনা মোস্তফা জামাল পপলু, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের এএইচএম শামিমুজ্জামান, দৈনিক পূর্বাঞ্চলের স্টাফ রির্পোটার এইচএম আলাউদ্দিন, খুলনা প্রেস ক্লাবের সহকারী সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্না, খুলনা রিপোর্টারস্ ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশের স্টাফ রিপোর্টার  নুরুজ্জামান, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের  নির্বাহী কমিটির সদস্য বিমল সাহা, খুলনা ক্রাইম রিপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ দেওয়ান, এসএ টিভির রকিবুল ইসলাম মতি।

আরো পড়ুন>>>রিফাত হত্যায় আরও একজন গ্রেফতার

সংহতি প্রকাশ করে বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল হাসান রুবা, নির্বাহী কমিটির সদস্য মেহেদী হাসান, অ্যাডভোকেট  ড.  জাকির হোসেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনার সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

স্বাআলো/এসই

.

Author