
জেলা প্রতিনিধি: বরগুনা : বরগুনার আমতলী উপজেলার কাঠালিয়া তাজেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় লম্পট শিক্ষক জহিরুল ইসলামের বিচার চেয়ে পোষ্টার সাঁটানো হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও জনগণের পক্ষে বিচার দাবি করে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ও স্ট্যান্ডে পোষ্টার সাঁটানো হয়।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার আমতলী উপজেলার কাঠালিয়া, টেপুড়া, মহিষকাটা, আজিমপুর, গাজীপুর ও আমতলী উপজেলা পরিষদ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শিক্ষক জহিরুল ইসলাম গাজী ও আশ্রয়ভাতা তার বড় ভাই ফারুক গাজীর বিচার চেয়ে দেয়ালে ও ভবনের পাশে পোষ্টার সাঁটানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত. উপজেলার কাঠালিয়া তাজেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক জহিরুল ইসলাম গাজী ২০১৫ সালে ২২ জুলাই বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন ছাত্রীদের উত্যক্ত করে আসছিল। ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ফেল করার হুমকি দিয়ে গত ডিসেম্বর থেকে শিক্ষক জহিরুল ইসলাম একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ওই ছাত্রী অন্ত:সত্বা হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় শিক্ষক জহিরুল ইসলাম ওই ছাত্রীর গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করে। ওই ছাত্রী রাজি না হওয়ায় হুমকি দিয়ে পটুয়াখালী নিয়ে গর্ভপাত ঘটানো হয়। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন ধর্ষক জহিরুল ইসলামের বিচার দাবি করে বিদ্যালয়ে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। ওই ছাত্রীর দাদা ৩০ জুন আমতলী থানায় শিক্ষক জহিরুলকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় ম্যানেজিং কমিটি তাকে কেন চাকুরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে না মর্মে ৭ দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে নোটিশ দেন। নির্ধারিত ৭দিন শেষ হলে শিক্ষক জহিরুল ইসলাম কোন জবাব দেয়নি।
আরো পড়ুন>> বরগুনায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
কাঠালিয়া তাজেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আওলাদ হোসেন বলেন, শিক্ষক জহিরুল ইসলামকে দেয়া নোটিশের কোন জবাব দেয়নি। আগামীকাল (মঙ্গলবার) ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা ডেকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী থানার এসআই ফয়সাল বলেন, ওই ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা এবং ২২ ধারায় জবানবন্দী নেয়া হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
স্বাআলো/এম
.
Admin
