
নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর : যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত । অভিযানে ৪ দালালকে ২০ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং হাসপাতাল এলাকায় লাইফ কেয়ার ডায়গনেষ্টিক সেন্টারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং বিভিন্ন রোগীদের ৮ হাজার ৫শ টাকা ফেরত দিতে বাধ্য করেছেন।
যশোর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল ইসলাম আজ সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করেন।
তারা বিভিন্ন ক্লিনিকের প্রতিনিধি হয়ে হাসপাতালের রোগীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারায় প্রত্যেকে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের পেশকার শেখ জালাল উদ্দিন জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত আজ দুপুর ১২টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাট এলাকার হায়দার আলীর ছেলে মনিরুজ্জামান মনির, শেখহাটি পূর্বপাড়ার জোবায়ের হোসেনের ছেলে জাফর হোসেন, শহরের রেলগেট এলাকার ইসরাফিল শেখের ছেলে রুবেল শেখ ও ঘোপ এলাকার শরিফুজ্জামানের ছেলে রকিবুজ্জামান সাচ্চুকে আটক করেন। তারা বিভিন্ন ক্লিনিকের প্রতিনিধি হয়ে হাসপাতালের রোগীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারায় প্রত্যেকে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
আরো পড়ুন>>>নরসিংদীতে অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্র উদ্ধার, ৬ অপহরণকারী গ্রেপ্তার
এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত হাসপাতাল এলাকার লাইফ কেয়ার ডায়গনেস্টিক সেন্টারে অভিযান চালায়। এসময় আদালত হাসপাতালের টিকিট নিয়ে বিভিন্ন রোগীদের চিকিৎসকদের অপেক্ষা করতে দেখতে পান। এছাড়া ক্লিনিকের পর্যাপ্ত ডাক্তার, নার্স, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কোন কিছু না পাওয়ায় ক্লিনিকের মালিক লাইলি ইয়াসমিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে তা আদায় করেন। হাসপাতালের টিকিটের বিভিন্ন রোগী কাছ থেকে ৮ হাজার ৫শ টাকা নেয়ায় যশোরের চৌগাছা উপজেলার সাজ্জাদপুর এলাকার আমির আলীর স্ত্রী ফরিদাকে ১১০০ টাকা, যশোর সদর উপজেলার উসমানপুরের ইদ্রিস আলীর স্ত্রী রেশমাকে ৭০০ টাকা, সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার খুবদিপুর গ্রামের দেদারুল আলমের মেয়ে মঞ্জুকে ১৩০০ টাকা, যশোর সদর উপজেলার উসমানপুরের নওশের আলীর ছেলে মনিরুল ইসলামকে ১৭০০ টাকা, চৌগাছা উপজেলার বলিদানপুর গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে আবীরকে ১৪০০ টাকা, জোহরা খাতুনকে ৭০০ টাকা, হালিমাকে ১৩০০ টাকা, তবিবর রহমানকে ৫০০ টাকাসহ মোট ৮ হাজার ৫শ টাকা তাদেরকে ফেরত দিয়ে দেন। ভোক্তাধিকার আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ক্লিনিকে জরিমানা ও রোগীদের টাকা ফেরত দিয়ে দেন।
আরো পড়ুন>>>রংপুর সিটি মেয়র মোস্তফাকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ
অভিযানের সময় যশোর কোতয়ালি মডেল থানার ওসি (অপারেশন) সামসুজজোহা, পুরাতন কসবা ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শিহাবুর রহমান, কোতয়ালি থানার এসআই মাহাবুব উপস্থিত ছিলেন।
স্বাআলো/এসই
.
Admin
