
জেলা প্রতিনিধি, বরগুনা : আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার দুপুরে ইসলামপুর গ্রামে এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে আট জনকে বরিশাল সেবাচিম হাপাতালে নেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে নৌকার প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধার সমার্থক সুলতান খন্দকার (৪২) ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার ছোট ভাই জহিরুল ইসলাম খোকন মৃধার অবস্থা গুরুতর। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মোতাহার উদ্দিন মৃধা জানান, শনিবার দুপুর একটার দিকে তার ছোট ভাই খোকন মৃধা ৮ থেকে ১০ জন লোক নিয়ে প্রচারের জন্য ইসলামপুর গ্রামের দেলোয়ার শাহর বাড়িতে যান। এসময় নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় খোকন মৃধাসহ আট জন আহত হন।
অন্য আহতরা হলেন, আরিফুল ইসলাম জামাল (৪৯), আলমগীর প্যাদা (৩৫), কারিমুল হাসান (৫০), শহীদুল হাওলাদার (২২), খালেক বেগ (৪০), সাইফুল ইসলাম (২৬), ছালাম মাতুব্বর (৩০) ও আলাউদ্দিন হাওলাদার (৪০)। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, জাহিদুল ইসলাম মিঠু মৃধা হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতাহার উদ্দিন মৃধার কর্মী-সমর্থকরা আমার উল্টাখালী ও কলঙ্কের দুটি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে। এসময় বাঁধা দিলে বাবুল সর্দার (৪০), সুলতান খন্দকার (৪২), নাজমুল হাওলাদার (৩৭) ও জসিম হাওলাদার (৩০) আজাদ (৩০), বজলুগাজীসহ (৫০) অন্তত ১০ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে। তাদের উন্নত চিকিতসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি আবুল বাশার জানান, সংঘর্ষের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে রবিউল মালাকার (১৭), জসিম উদ্দিন মোল্লা (২৮), শাহ জালাল আকন (৩৫) ও আরিফ হাওলাদার (১৭) নামে চারজনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখাতে ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্বাআলো/ডিএম
.
Admin
