ঢাবির স্নাতক ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বর সৃজনশীল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে আসন্ন স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় এবার ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা যুক্ত হয়েছে। এর আগে পুরো ১০০ নম্বরের বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) প্রশ্ন থাকলেও এবার প্রথমবারের মতো এটি ৬০ নম্বরে নেমে আসছে এবং বাকি ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন সৃজনশীল পদ্ধতিতে তৈরি করা হবে। বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক ধারণা দিয়েছেন জেনারেল অ্যাডমিশন কমিটির একাধিক সদস্য।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় নতুন করে লিখিত প্রশ্ন থাকার বিষয়টি নিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা কৌতূহল আছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার লিখিত থাকবে ৪০ নম্বরের এবং এমসিকিউ থাকবে ৬০ নম্বরের। তবে এমসিকিউর জন্য সময় থাকবে ৪০ মিনিট এবং ৫০ মিনিট থাকবে লিখিত অংশের জন্য।

লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নের মানের বিষয়ে কয়েকটি অনুষদের ডিনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উচ্চ মাধ্যমিক থেকে শিক্ষার্থীরা যেহেতু সৃজনশীল পড়ে আসছে, ভর্তি পরীক্ষায় তাই লিখিত অংশে সৃজনশীল ধরনের প্রশ্ন হবে। মাধ্যমিকের পাঠ্যবইগুলোর ওপর ভালো ধারণা থাকলে সহজে উত্তর করতে পারবে শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন>> গণতন্ত্র এখন সংকটাপন্ন

এ বিষয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘লিখিত অংশের জন্য সময় থাকবে ৫০ মিনিট। এ সময়ের মধ্যে যাতে শিক্ষার্থীরা উত্তর দিতে পারে, সেটা বিবেচনা করেই আমরা প্রশ্ন করবো। এখানে ল্যাংগুয়েজের ওপর গঠনমূলক আলোচনা এবং তারা লিখতে পারে কিনা এটা আমরা দেখবো। যেহেতু তারা মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে সৃজনশীল পড়ে আসছে, সে হিসেবে ‘ভাবনা-চিন্তা’ করে যাতে উত্তর লিখতে হয়, তেমন প্রশ্ন করা হতে পারে।’

লিখিত অংশেও বাংলা, ইংরেজি এবং সাধারণ জ্ঞান থেকে প্রশ্ন থাকবে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যদি উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্য বইগুলো খুব ভালো করে পড়ে এবং জানে, তাহলে তারা উত্তর করতে পারবে।’

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, ‘লিখিত অংশে শিক্ষার্থীদের দক্ষতানির্ভর প্রশ্ন হতে পারে অর্থাৎ সৃজনশীল। লিখিত প্রশ্ন করার কারণ হলো, আসলে শিক্ষার্থীরা কি লেখাপড়া জানে? নাকি ডিভাইস দিয়ে শুনে শুনে উত্তর দিলো, তা নিশ্চিত হওয়া। লিখিত দক্ষতা যাচাই করা হবে এখানে।’

স্বাআলো/এম

.

Author