
আবদুল মান্নান, শার্শা (যশোর) : চিকিৎসক ও জনবল সংকটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত যশোরের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দীর্ঘদিন ধরে বিকল হয়ে রয়েছে এক্স-রে ও ইসিজি মেশিন। আর প্যাথলজি বিভাগে চলছে অনিয়ম-দুর্নীতি। কাক্সিক্ষত সেবার পাওয়া, নিন্ম মানের খাবার ও অপরিছন্ন পরিবেশে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে রোগীরা।
যশোরের শার্শা উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও স্থল বন্দর বেনাপোলের কয়েক হাজার শ্রমিকসহ সাড়ে তিন লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবা দেয়ার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
পার্শ্ববর্তী ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারণ, শঙ্করপুর, শিমুলিয়া ও হাজিরবাগ ইউনিয়নের মানুষ এ হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে। প্রতিদিন বহিঃবিভাগে সাড়ে তিশ’ থেকে ৪শ’ রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিতে হয়। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি থাকে।
রোগীদের কথা বিবেচনা করে ২০১৮ সালে ৩১ শষ্যার হাসপাতালটি ৫০ শষ্যার উন্নিত করা হয়। অথচ চিকিৎসক ও জনবল বাড়েনি। বাড়েনি চিকিৎসা সেবার মান। হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার, এনেসথিয়া, গাইনি, সার্জারি, চক্ষু ও শিশুসহ কোন কনসালটেনন্ট নাই। ৩২ জন চিকিৎসের মধ্যে রয়েছেন ৪ জন। এর মধ্যে ১ জন মাতৃত্বকালিন ছুটিতে আছেন। বিভিন্ন শ্রেণির ১১৯ জন কর্মচারীর মধ্যে রয়েছে ৫৪ জন। স্বল্প জনবল দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরো পড়ুন>>>যশোর থেকে শিশু ধর্ষণের আসামি আটক
রোগীদের অভিযোগ হাসপাতাল থেকে ঠিকমত ওষুধ দেয়া হয় না। দীর্ঘদিন ধরে বিকল রয়েছে এক্স-রে ও ইসিজি ম্যাশিন। প্যাথলজি বিভাগে চলছে অনিয়ম-দুনীতি। রোগীদেরকে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। ভর্তি রোগীদের দেয়া হচ্ছে নিন্ম মানের খাবার। দূর দূরান্ত থেকে সেবার জন্য এসে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে ডাক্তার খুঁজে পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে জেলা শহরে ছুটে যেতে হয়। অর্থের অভাবে গরিব রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।
উপজেলা সাস্থ্য কর্মকর্তা অশোক কুমার সাহা বলেন, জরুরী ভিত্তিতে লোকবল নিয়োগ হলে সঠিক ভাবে চিকিৎসা সেবা দিতে পারবো। এক্স-রে ম্যাশিনের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে। অচিরেই মেরামত হবে। হাসপাতালে যাতে সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ মানুষ সর্বোচ্চ সেবা পায় সে ব্যবস্থা করা হবে।
স্বাআলো/আরবিএ
.
Admin
