
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি : বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান বলেছেন, ২০২৩ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে আসবে অনেক ট্রেন। বেনাপোল হবে ট্রেনের নগরী। ভারত বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেনযোগাযোগ মাইল ফলক হবে। এছাড়াও পদ্মা সেতু চালু হলে মৈত্রী ট্রেন ঢাকা থেকে ছেড়ে বেনাপোল হয়ে কলকাতা যাবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ১৯৫০ভারতের কলকাতা থেকে রেলে চড়ে বেনাপোলে এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। ১৯৭৪সালে বেনাপোল পরিদর্শনের আসেন তিনি। তাই এই বেনাপোলের গুরুত্ব অনুধাবন করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে ১৭জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন বেনাপোল-ঢাকা রুটে বিরতীহীন রেল বেনাপোল এক্সপ্রেস। সপ্তাহে ৬দিন চলবে ট্রেনটি। বায়োটয়লেটসহ আধুনিক সব সুযোগ সবিধা থাকবে এ ট্রেনে।
এছাড়াও রেল সার্ভিসের উদ্বোধনকে সামনে রেখে শনিবার সকালে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে তিনি একথা বলেন। ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয় তাকে। বেনাপোল-ঢাকা ট্রেনটিকে বেনাপোল এক্সপ্রেস নামকরণ করায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যাবসায়ী নেতাসহ বেনাপোলবাসী।
শামসুজ্জামান বেনপোল ইমিগ্রেশন ভবনে সর্বসাধারণের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, রেলওয়ের মহাব্যাবস্থাপক খন্দকার শহিদুল ইসলাম নয়ন,অতিরিক্ত সচিব প্রণব কুমার ঘোষ,জেনারেল ম্যানেজার সহিদুজ্জামান (রাজশাহী),অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হোসাইন মোহাম্মদ শওকত, শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মনজু,উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল,বাংলাদেশ ভারত চেম্বার অব কমার্স উপ-কমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমান,সাংবাদিক মহাসিন মিলন,জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল,সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান, কাস্টম বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন,ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান প্রমুখ।
পরে তিনি ইমিগ্রেশনসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। বিকালে ভারতের প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষ্যাৎ করেন তিনি। ট্রেন উদ্বোধনের খবরে খুশি এলাকাবাসি। যশোর নাগরিক কমিটির সদস্য ডা আব্দুল্লাহ ও স্থানীয় আসাদুজামান আসাদ বলেন এটি আমাদের আনন্দের গর্বের সুখের খবর প্রধান মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তারা।
.
Admin
