ব্রহ্মপুত্রের বাঁধ ভেঙে তিনটি গ্রাম প্লাবিত

জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সদর উপজেলার গিদারীর বাগুড়িয়া বাজার এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানির চাপে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আজ রবিবার বাঁধটি ভেঙে তিনটি গ্রামে পানি প্রবেশ করে।

পানির স্রোতে ভেসে গেছে পুকুর ও মৎস্য প্রকল্পের মাছ। ঘরে পানি প্রবেশ করায় পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছে ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ নতুন বাঁধে। বাঁধের ভাঙ্গা ওই অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করায় ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে নতুন বাঁধটিও।

ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ সংলগ্ন বাড়ির গৃহিনী কোহিনুর বেগম বলেন, শনিবার বিকেল থেকে বাঁধের ভাঙ্গা অংশে ইদুরের গর্ত দিয়ে লোকালয়ে পানি ঢোকে। প্রথমে এলাকাবাসি গর্তটি বন্ধ করার চেষ্টা করেও পানি আসা বন্ধ করতে পারেনি। তারপর পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ স্থানীয়রা বস্তা ফেলে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি। পানির চাপে ভেঙ্গে যায় বাঁধটি।

আরো পড়ুন>> গেট খুলে দিলো ভারত, তিস্তার পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার উপরে

সরেজমিনে দেখা যায়, পুরাতন বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে নতুন বাঁধের পশ্চিম পাশে রাশেদুল, আনিচ, রাজা ও রেজু মিয়ার বাড়ির সামনে ইঁদুরের গর্ত দিয়ে আবার লোকালয়ে পানি ঢুকলে স্থানীয়রা গর্ত ভরাটের কাজ করে নিয়ন্ত্রণে আনে।

ইউপি সদস্য আব্দুর রহমান বাবু বলেন, প্রায় ৮০ ফুট বাঁধ ভেঙ্গে রাজা মিয়া, ভুট্টু মিয়া ও আনারুল ইসলামের মৎস্য প্রকল্পের মাছ ভেসে গিয়ে তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে ও পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ১৫০ পরিবার। এ ছাড়া কয়েক একর আমন ধানের চারা ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। বাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ না করলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হবে। সেই সাথে নতুন বাঁধটিও যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  উত্তম কুমার রায় বলেন, আমি ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। বাঁধ ভেঙ্গে যারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে তাদের তালিকা করতে ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছি। পরে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, ওটা আগে আমাদের ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ছিল। এখন সেটিকে মানুষ রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করে। ওই অংশটি ভেঙে যাওয়ায় নতুন বাঁধের উপর চাপ পড়েছে। নতুন বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো মেরামতের কাজ চলছে।

স্বাআলো/এম

.

Author