
জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা : নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ও ছয় জায়গায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
আজ সোমবার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের মধ্য কাতলামারী মুন্সিপাড়া গ্রামে যমুনা নদীর ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ২৫০ মিটার, সদর উপজেলার পৌর এলাকার ৯নং ওয়ার্ডের পূর্বকোমরনই কুঠিপাড়ায় পৃথক দুই জায়গায় বাঁধ ভেঙে প্রায় ৯০ মিটার, খোলাহাটী ইউনিয়নের পশ্চিম কোমরনই ফকিরপাড়ায় ঘাঘট নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ২৫ মিটার ও একই উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের বাগুড়িয়া ও মাঝিপাড়া গ্রামে ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ৪০ মিটার অংশ ভেঙে গেছে। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বন্যা দূর্গত এলাকায়। ঘরবাড়ী ডুবে যাওয়ায় মানুষ আশ্রয় নিচ্ছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ বিভিন্ন সড়কে। খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে বন্যাদূর্গত এলাকার মানুষ।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা যায়, সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের ২১৩টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। কাঁচা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯২ কিলোমিটার। বন্যার পানিতে কালভার্ট ধসে গেছে ছয়টি, ফসল নিমজ্জিত রয়েছে এক হাজার ২৪৬ হেক্টর ও ৩১৪টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৮ হাজার ২৩০টি, আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১১৪টি। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৪২ হাজার ১০২ জন। প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা রয়েছে গোবিন্দগঞ্জ, সাদুল্লাপুর, সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলায় ১১২টি। এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ অন্যান্য বাঁধের অনেকগুলো এলাকা। বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র নদসহ তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি। ৪০০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ও ছয় লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে বন্যাকবলিত মানুষদের মধ্যে।
স্বাআলো/এসই
.
Admin
