
নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর : যশোর-বেনাপোল সড়কে জমি অধিগ্রহণের নামে ভুর্তকির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়ার নামে একদল প্রতারক মাঠ নেমেছে। সড়কের পাশে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও জমির মালিককে মোটা অংকের টাকা পাইয়ে দেয়ার নাম করে টাকা দাবি করছে। প্রকৃত পক্ষে যশোর বেনাপোল সড়কের দুই লেন করার ক্ষেত্রে সরকার নতুন করে কোন জমি অধিগ্রহণ করছে না বলে সড়ক ও জনপদ বিভাগ জানিয়েছে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, যশোর শহরের দড়াটানা থেকে বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ড পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার রাস্তা গাছ রেখেই দুই লেন করার জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়। দুটি প্রজেক্টের আওতায় এ সড়কের জন্য কাজ করার অনুমতি পায় যৌথ ভাবে তমা কনস্ট্রাকশন ও মোজাহার এন্টারপ্রাইজ এবং তাহের ব্রাদার্স লি. ও মোজাহার এন্টারপ্রাইজ।
প্রথম প্রজেক্টের আওতায় ০ থেকে ২০ কিলোমিটার রাস্তার জন্য বরাদ্দ ১২৯ কোটি ১৭ লাখ ২৫ হাজার ৬৯৭ টাকা ৮৬ পয়সা এবং দ্বিতীয় প্রজেক্টের ২০ কিলোমিটার থেকে ৩৮ কিলোমিটার ২০০ মিটারের জন্য ১৩৭ কোটি ২৬ লাখ ১৮ হাজার ১৭ টাকা ৫৩ পয়সা। ২০২০ সালে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ বুঝে দেয়ার জন্য টেন্ডারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে যশোর-বেনাপোল সড়কের দুই পাশে জমি অধিগ্রহণের কথা বলে একদল প্রতারক মাঠে নেমেছে। দুইজন করে এ দল সড়কের পাশে বড় বড় বাড়ি বা প্রতিষ্ঠান দেখে সেখানে ফিতা নিয়ে পরিমাপ করা শুরু করছে। তারপর প্রতিষ্ঠান বা বাড়ির মালিককে ডেকে অধিগ্রহণের সময় ভর্তুকির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়ার কথা বলে টাকা দাবি করছে।
আরো পড়ুন>>>যশোরে শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে কিশোর গ্রেফতার
যশোর-বেনাপোল সড়কের লাউজানী এলাকার সরদার কেমিকেল কোম্পানির মালিক নজরুল ইসলাম ও একই এলাকার সোনালী ব্যাংকের অডিটর খোরশেদ আলমের নিকট টাকা দাবি করেছে প্রতারক চক্র। ওই চক্র বলেছে, আপনার জমি সড়কের মধ্যে পড়ে গেছে। কোন উপায় নেই। অধিগ্রহণের সময় ক্ষতির পরিমাণ বেশি দেখিয়ে ভর্তুকির পরিমাণ বেশি করে দেয়া হবে। এ জন্য তাদেরকে টাকা দিতে হবে।গদখালী বাজারে দোকানদার সবুর মোল্যার কাছে একই ভাবে টাকা দাবি করা হয়েছে।
যশোর শহরতলী চাঁচড়া তেলপাম্প এলাকার বাবু সিকদার বলেছেন, তেলপাম্পের পরেই তার জমি রয়েছে। তাকে অধিগ্রহণের সময় ভর্তুকির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়ার লোভ দেখানো হয়েছে। যা আমি মোটেও বিশ্বাস করিনি।
ওই রোডের পাশের বাসিন্দারা বলছেন, সরকার যদি অধিগ্রহণ করে তাহলে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে কাজ করতে হবে। তা না হলে জমির মালিকরা প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়বে বেশি।
যশোর সড়ক ও জনপদের সার্ভেয়ার জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন,যশোর বেনাপোল সড়কের দুই লেন করার জন্য কোন জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। দুই লেনের কাজ চলছে।
তবে বেনাপোল থেকে যশোর, নড়াইলের কালনা হয়ে পদ্মসেতু দিয়ে এশিয়ান হাউওয়ে ৬ লেনের মহাসড়কের জন্য জমি যাচাই বাচাই হওয়ার কথা আছে। সড়ক ও জনপদের প্রধান কার্যালয় এবং একটি বিদেশী সংস্থার লোকজন এ কাজ তদকরির করবে। সেটা কতদূর তা বলতে পারছেন না যশোর সড়ক ও জনপদের কর্মকর্তারা।
স্বাআলো/আরবিএ
.
Admin
