
জেলা প্রতিনিধি, পটুয়াখালী : মির্জাগঞ্জ উপজেলায় চাঞ্চল্যকর শিশু সিয়াম হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনসহ মূল আসামি ইউপি সাইফুল ইসলাম ওরফে জামাল মেম্বারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার জামাল মেম্বার বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের অন্যান্য সহযোগীদের আইনের আওতায় আনতে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান জানিয়েছেন, ২৬ জানুয়ারি পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুলতানাবাদ গ্রামে খাটাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সিয়াম মাহামুদকে জবাই করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার পিতা শাহজাহান গাজী মির্জাগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
আজ সোমবার মামলার প্রধান আসামি জামাল মেম্বারকে গ্রেফতার করা এবং মামলার রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হন।
আরো পড়ুন>> পটুয়াখালী পৌরসভা কার্যালয়ে তালা
ইউপি সদস্য জামালের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, সুলতানাবাদের শাহজাহান গাজী ও ইসমাইল গাজীদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ নিরসনের উদ্দেশ্যে তিনি শাজাহান গাজীদের বাড়িতে অবাধ যাতায়াতের একপর্যায়ে তার স্ত্রীর সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।শাজাহান গাজীর ছেলে সিয়াম মাহামুদ তাদের অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেললে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। এ কাজের জন্য সহযোগীদের সাথে দুই লক্ষ টাকা দেয়ার চুক্তি ও হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৫ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর সিয়ামকে ঝাল মুড়ি খাওয়ানোর কথা বলে মাহফিল থেকে ডেকে নিয়ে যায় জামাল মেম্বার ও তার সহযোগীরা। ঝাল মুড়ি খাওয়া অবস্থায় তারা সিয়ামকে জোরপূর্বক মাফলার দিয়ে মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। আমজেদ আলী আকনের পুকুর পাড় সংলগ্ন জায়গায় তারা মাফলার দিয়ে সিয়ামের দুই হাত বেঁধে, দুই পায়ে ও চোখের উপরে চেপে ধরে ধারালো ডেগার দিয়ে সিয়ামের গলায় জবাই করে ও দুই হাতের কব্জির রগ কেটে সিয়ামকে নির্মমভাবে হত্যা করে চলে যায়।
স্বাআলো/এম
.
Admin
