কাল রংপুরে যুবলীগের সম্মেলন

রংপুর ব্যুরো : দীর্ঘদিন পর রংপুর মহানগর যুবলীগের সম্মেলনকে ঘিরে তৃণমুল থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। এর আগে একাধিকবার কমিটি গঠন উপলক্ষ্যে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হলেও শেষ পর্যন্ত সম্মেলন হয়নি। ফলে ৬ বছর ধরে আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে চলছে নগর যুবলীগ। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন রংপুর যুবলীগের তৃণমূল থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায়ের অধিকাংশ নেতাকর্মী।

রংপুর মহানগর আওয়ামী যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি সুত্রে জানা গেছে, শনিবার রংপুর জিলা স্কুল মাঠে সকাল ১১টায় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী সম্মেলন উদ্বোধন ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন।

সম্মেলনে প্রধান বক্তা থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ। এছাড়াও বাণিজ্যমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি এমপি, একেএম আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক এম.পি, আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকসহ জেলা ও মহানগর নেতাকর্মীরা সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন।

এবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। একারণে প্রার্থীরা সব সময় থাকছেন ভোটারদের কাছে। সকাল থেকে রাত অবধি নিজের কর্মকাণ্ড জাহির করছেন ভোটারদের কাছে। সকলেই নিজের পক্ষে ভোট চাইছেন এবং জয়ী বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নগরীর ৩৩ টি ওয়ার্ডের ১৫ জন কর মোট ৪৯৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন মহানগর যুবলীগের বর্তমান আহ্বায়ক এবিএম সিরাজুম মনির বাশার, যুগ্ন আহবায়ক হারুন অর রশীদ, মহানগর যুবলীগের সদস্য হারুন অর রশীদ সাগর। সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছেন মহানগর যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মুরাদ হোসেন, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর, যুগ্ন আহবায়ক হারাধন রায় হারা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল মাহমুদ রাসেল।

এছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে যুগ্ন আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, আশরাফুল আলম, রংপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সোহেল রানা ইমনসহ একাধিক সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নামও আলোচনায় রয়েছে।

এদিকে আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলনকে ঘিরে ইতোমধ্যে নেতাকর্মীরা তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে নগরজুড়ে ব্যানার-ফেস্টুন সাটিয়ে ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও প্রচারণা শুরু করেছেন। সম্মেলনকে ঘিরে উৎসাহ থাকলেও অনেকের মাঝে রয়েছে উৎকন্ঠা।

আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী হারুন অর রশিদ হারুন বলেন, এবার ৬ বছর পরে আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ বিরাজ করছে। দলের দু: সময়ে আমি ছিলাম। নেতাকর্মীরা তাদের সমস্যা ও সুবিধায় আমাকে পেয়েছে।

রংপুর মহানগর যুবলীগের আহব্বায়ক এবিএম সিরাজুম মনির বাশার জানান, কর্মী যাচাই বাছাই, কমিটি গঠন বিভিন্ন সাংগঠনিক কাজকর্ম আমার কমিটির সকল যুগ্ম আহব্বায়কদের নিরলস প্রচেষ্টা এবং সারা বছর ধরে আমাকে মহানগর যুবলীগকে শক্তিশালী সংগঠনে রুপান্তর করার জন্য সহযোগিতা তা ভোলার মত না।

সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী মুরাদ হোসেন বলেন, সম্মেলনকে সফল করার জন্য সকল ওয়ার্ডের মহানগর যুবলীগ কর্মীদের আহবান জানাই

উল্লেখ্য, কেন্দ্র ঘোষিত প্রথমে গত ১৩ জুলাই সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হয়। এরপর রংপুর মহানগর যুবলীগ দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়ে। পাল্টাপাল্টি প্রতিবাদ মিছিল সমাবেশ চালালে কেন্দ্র থেকে ১৫ জুলাই কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করে।

২০১২ সালে এবিএম সিরাজুম মনির বাশারকে আহবায়ক, ইসমাইল হোসেন সাজুকে ১নং যুগ্ম আহবায়ক ও মুরাদ হোসেন, হারুন অর রশীদ, হারাধন রায় হারা, সাইফুল ইসলাম, আশরাফুল আলমকে যুগ্ম আহবায়ক করে কমিটির অনুমোদন দেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটি। তিন মাসের মধ্যে মহানগর যুবলীগের সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও গত ৬ বছরেও তা করা সম্ভব হয়নি।

স্বাআলো/এএম

.

Author