
জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা : বিপদসীমার উপরে থাকা ব্রহ্মপুত্র নদ ও ঘাট নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই নতুন-পুরাতন ভেঙে যাওয়া বাঁধের অংশগুলো দিয়ে বন্যার পানির স্রোতে এখনও গাইবান্ধা সদর, সাদুল্লাপুর, সাঘাটা, পলাশবাড়ী ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। অপরদিকে সুন্দরগঞ্জে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার নিচে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে আজ বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টায় করতোয়ার পানি বেড়েছে ৩৮ সেুন্টিমিটার। গতকালও বন্যার পানির প্রবল চাপে বাঙালি নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে গোবিন্দগঞ্জের মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের বালুয়া এলাকায়। এই পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হচ্ছে আশেপাশের কয়েকটি ইউনিয়ন। গত কয়েক দিনে সদর, সাঘাটা ও গোবিন্দগঞ্জে ৫ জন বন্যায় এ পর্যন্ত মারা গেছে।
জেলা প্রশাসনের সুত্রে জানা যায়, কাঁচা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫১৭ ও পাঁকা রাস্তা ১৮৭ কিলোমিটার, ব্রীজ ও কালভার্ট ১৮টি, বাঁধ ৫৭ দশমিক ৫০ কিলোমিটার ও টিউবওয়েল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই হাজার ৬৪০টি। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে দুই হাজার ৯৪১টি ও ফসল নিমর্জ্জিত হয়েছে নয় হাজার ৮২১ হেক্টর জমির এবং মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে ৭৫টি। সন্ধ্যা ছয়টায় ব্রহ্মপুত্র নদ ১৩৯, ঘাঘট নদী ৮৩ এবং করতোয়া নদী ১ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্বাআলো/আরবিএ
.
Admin
