
নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর: ছাত্রলীগ নেতাদের ফুল দেয়ার ‘অপরাধে’ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গোলাম রাব্বানী নামে পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের অভিযোগ উঠেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসিয়ূর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
আজ শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে এমন দাবি করেন মাস্টার্সের শিক্ষার্থী গোলাম রাব্বানী।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্রলীগের পাঁচ নেতার বহিষ্কারাদেশ উচ্চ আদালত বাতিল করলে আমি তাদের ফুল দিয়ে ক্যাম্পাসে স্বাগত জানাই। এজন্য প্রশাসন আমাকে ফের বহিস্কার করেছে। গত ১৪ জুলাই স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি নোটিশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাকে দিয়েছে। এজন্য আমার লেখাপাড়া অনিশ্চয়াতার মধ্যে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, যবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে ওঠেন। দায়িত্ব পান হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের। কিন্তু ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।
গরিব বাবার স্বপ্ন পূরণে তিনি শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করতে চলতি বছরের শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ে শাস্তি মওকুফের জন্য আবেদন করেন। ছাত্রলীগের সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ না রাখার শর্তে তার আবেদন বিবেচনায় নিয়ে গত ১৪ মে বহিষ্কারাদেশের মেয়াদ দুই বছর থেকে কমিয়ে এক বছর করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গোলাম রাব্বানী অভিযোগ করেন, মূলত যবিপ্রবি থেকে ছাত্রলীগের কার্যক্রম বন্ধ করতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ইকবাল কবির জাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান পরিকল্পিতভাবে ছাত্রলীগের নেতাদের বহিষ্কার করছেন। বর্তমান ভিসির সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩৯ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী গোলাম রব্বানী বলেন, যবিপ্রবি ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ বন্ধ করতে তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বহিস্কার আতংক সৃষ্টি করতে একের পর এক ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করছেন। আমরা জানতে পেরেছি, আইন অমান্য করে বিনা টেন্ডারে ভিসি স্যার তার অফিসে ৭৬ লাখ টাকার কাজ করিয়েছেন। এক কোটি টাকা ব্যয়ে একটি গ্যালারি নির্মাণ করেছেন। ৩৫ লাখ টাকার সেমিনার কক্ষ নির্মাণেও কোন টেন্ডার আহবায়ন করা হয়নি। দেড় কোটি টাকার জেনম সেন্টার নির্মাণের ক্ষেত্রেও আইন অনুযায়ী কোন টেন্ডার আহবান করা হয়নি।
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষা মন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
স্বাআলো/আরবিএ
.
Admin
