প্রিয়ার গোপন অপকর্মের সকল তথ্য ফাঁস

ডেস্ক রিপোর্ট : ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশ নিয়ে অদ্ভুত নালিশ করার পর থেকেই ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’ প্রিয়া সাহা। তার এই বক্তব্যের পেছনে মূলত উদ্দেশ্যটা কী তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। পাশাপাশি এই নারীর অতীত নিয়েও বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

এদিকে প্রিয়া সাহার মূল পরিচয় তিনি বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক। বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। কিন্তু বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য গতবছর তাকে বহিষ্কার করা হয়।

তাছাড়া ‘শারি’ নামে একটি এনজিও চালান তিনি। এই এনজিওর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার বিদেশী অনুদান সংগ্রহ করেছেন।

এদিকে প্রিয়া সাহা নামে পরিচিত হলেও তার প্রকৃত নাম প্রিয়া বালা বিশ্বাস। এ বছর ১২ জুন তিনি ‘দলিত কণ্ঠ’ নামের একটি মাসিক পত্রিকার ছাড়পত্র নেন। পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে তার নামই রয়েছে। কোটি কোটি টাকা বিদেশী অনুদান লুটপাটের আশাতেই তিনি এই পত্রিকাটিকে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন বলে জানিয়েছে কয়েকটি সূত্র।

আরো পড়ুন>>> প্রিয়া সাহার জন্মভূমি পিরোজপুর ও শ্বশুর বাড়ি যশোরে আলোচনার ঝড়

এদিকে ‘দলিত কণ্ঠ’ সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে প্রিয়া সাহা অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ করেছেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বার্থ বিরোধী কোনো সংবাদ তিনি পরিবেশন করবেন না। কিন্তু পত্রিকাটির ডিক্লারেশন পাওয়ার মাত্র ১ মাসের মধ্যেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে রাষ্ট্র বিরোধী বক্তব্য দিয়ে এসেছেন।

জানা জায়, প্রিয়া সাহার বাড়ি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরের চরবানিরী মাটিভাঙ্গা গ্রামে। প্রিয়া তার গ্রামের বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের কথা বলেছেন। অথচ তার গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে তার বাড়িতে জমাজমি নিয়ে পূর্বশত্রুতার জের ধরে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সেটা ছিল তার পারিবারিক কোন্দলের জের।

এ ব্যাপারে প্রিয়ার এলাকার কয়েকজন জানালেন, সরকারি দল, বিরোধী দল ও এবং সুশীল সমাজের বিভিন্ন জনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছেন তিনি।

এদিকে তার দুই মেয়েই বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন। পরিবারসহ তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্রেই স্থায়ী হতে চাইছেন। মূলত একারণেই তিনি নিজের দেশ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্বাআলো/এসএ

.

Author