
সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: টানা ১২ দিন ধরে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকার পর গত শুক্রবার রাত হতে পানি কমতে শুরু করেছে।
ইতিমধ্যে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় ১৫ হতে ১৮ সেন্টিমিটার পানি কমে গেছে। তবে পানি কমার সাথে-সাথে বানভাসিদের মাঝে দেখা দিয়ে নানাবিধ রোগব্যধি, ত্রাণ ও গো-খাদ্য সংকট।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোলেমান আলী নিজে ওষুধ বিতরণ করছেন অথচ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডাক্তার ইয়াকুব আলী মোড়লকে দেখা যায়নি।
দুর্গম চরাঞ্চলে এখনো মেডিকেল টিম পৌঁছেনি। বিশেষ করে উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের কালাইসোতার চর, ফকিরের চর, পোড়ার চর, কেরানির চর, হারিপুর ইউনিয়নের মাদারিপাড়া, লখিয়ার পাড়া, গেন্দুরাম, চরবিরহিমসহ বিভিন্ন চরে মেডিকেল এখনও যায়নি। সরকারি বেসরকারি ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত থাকলেও তা পরিমাণে কম। চরবাসীর দাবি পানি বসতবাড়ি থেকে নেমে গেলেও সহজে বাড়িতে উঠা যাবে না। কারণ ঘরবাড়ির যে অবস্থা না সেরে বাড়িতে থাকা যাবে না। মানুষের চেয়ে গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে বানভাসিরা।
বেলকা চরের রেজাউল ইসলাম জানান, গরু ও ছাগল হল চরবাসীর বড় সম্বল। প্রতি কুরবানির ঈদে চরবাসী গরু ও ছাগল বিক্রি করে লাখ আয় করে। এ বছর সে আশা গুড়ে বালি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী জানান, পানিবন্ধি পরিবারদের মাঝে শুকনো খাবার, ত্রাণ সামগ্রী, ওষুধ ও গো-খাদ্য বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। আরও ত্রাণ সামগ্রীর জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া মাত্রাই তা বিতরণ করা হবে।
স্বাআলো/আরবিএ
.
Admin
