
জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি ধীর গতিতে হ্রাস পেলেও করতোয়া নদীর পানি এখনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ এলাকায় বাঙালি নদীর পানি তোড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকার পানিবন্দি পরিবারগুলোর মধ্যে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি সংকট, স্যানিটেশনের অব্যবস্থা, গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ত্রিমোহিনী থেকে বোনারপাড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রেললাইনের অবস্থা খারাপ থাকায় আন্ত: নগর লালমনি এক্সপ্রেস ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন বিকল্পভাবে রংপুর-পার্বতীপুর-সান্তাহার হয়ে ঢাকায় চলাচল করছে।
আরো পড়ুন>> গাইবান্ধায় বন্যায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বন্যায় এ পর্যন্ত জেলার সাতটি উপজেলার ৫১ টি ইউনিয়নের ৩৮৩ টি গ্রামের ৪ লাখ ৮৫ হাজার সাড়ে ৩০০ লোক এবং ৪৪ হাজার ৭৯২ টি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৮০ টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৭৪ হাজার ১০৪ জন আশ্রয় নিয়েছে। বন্যায় ৫৭৫ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা এবং ২৩৫ কি.মি. পাকা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৬৩ কি.মি. বাঁধ, ২১টি কালভার্ট এবং ১০ হাজার ৮৩৩ হেক্টর আবাদি জমি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ১৭৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২৬৪টি মাদ্রাসায় পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। ২ হাজার ৯৪১ টি পুকুরের মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার দুপুর ১২ টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি কিছুটা হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ১২৫ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৬৭ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এছাড়া করতোয়া নদীর পানি নতুন করে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্বাআলো/এম
.
Admin
