গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে

জেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি কিছুটা কমলেও এখনও বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যার পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। নদীর বাঁধ ভাঙ্গা পানি এখনও নতুন নতুন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। তবে বন্যা কবলিত এলাকার পানিবন্দি পরিবারগুলোর মধ্যে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি সংকট, স্যানিটেশনের অব্যবস্থা, গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, গাইবান্ধা ও গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা এবং ৪৯টি ইউনিয়নের ৩৯০টি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৪ হাজার ৮৯৭ জন। ৪৪ হাজার ৭৯২টি বসতবাড়ি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৮৪টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৭৪ হাজার ১৬৯ জন অসহায় মানুষ আশ্রয় নিয়ে আছে।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এ পর্যন্ত জেলায় ১ হাজার ১৫০ মে. টন চাল, ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৬ হাজার কার্টুন শুকনো খাবারের প্যাকেট, ঢেউটিন ৫০০ বান, তাঁবু ৫০০টি ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া গেছে। সেখান থেকে ইতোমধ্যে ৯৫০ মে. টন চাল, ১৫ লাখ টাকা এবং ৫ হাজার ৫৭০ কার্টুন শুকনো খাবার এবং ২৫০টি তাঁবু বন্যা দুগর্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ কাজ চলছে।

আরো পড়ুন>> গাইবান্ধাকে দুর্গত এলাকার ঘোষণা দাবি

এদিকে গাইবান্ধা সদর উপজেলার গোদারহাট, কুঠিপাড়া, কোনারপাড়া, ধুতিচোরা, বাগুড়িয়া ও কামারজানি এলাকার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শন ও বন্যা দুর্গত মানুষের সাথে মতবিনিময় শেষে গিদারী ইউনিয়নের গোরাইন গ্রামে বন্যার্ত পরিবারের মাঝে ত্রান সামগ্রী (খাবারের কার্টুন, পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট ও জ্যারিকেন) বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা ছয়টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি কিছুটা হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার  ৮৯ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৪৬ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এছাড়া করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমার ১ সে.মি. নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

স্বাআলো/এম

.

Author