
ডেস্ক রিপোর্ট : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এর কাছে প্রিয়া সাহা যে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে সাড়া দেশে।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সবাই। রবিবার প্রিয়া সাহা নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘শারি’ তে ৩৫ মিনিটের একটি ভিডিও দেন। সেখানে তিনি সংখ্যালঘুরা দেশ থেকে ‘ডিসঅ্যাপিয়ার’ হয়ে যাচ্ছে বলতে কী বোঝাতে চেয়েছেন তার ব্যাখ্যা দেন।
বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩৭ মিলিয়ন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার তথ্য কোথা থেকে পেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্য তথ্য তো অবশ্যই আছে, আপনারা জানেন অধ্যাপক আবুল বারকাত এই পরিসংখ্যান বইয়ের ওপর ভিত্তি করেই গবেষণা করেছেন। এবং সেই গবেষণায় উনি দেখিয়েছেন যে- বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন ৬৩২ জন লোক হারিয়ে যাচ্ছে। এবং কী পরিমাণে ক্রমাগত লোক হ্রাস পেয়েছে। পরিসংখ্যান বই নিয়ে ২০১১ সালে আমি স্যারের সঙ্গে সরাসরি কাজ করেছি। যার কারণে বিষয়টা সম্পর্কে আমি অবহিত।
তবে আজ সোমবার এক বিবৃতে আবুল বারকাত জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তিনি যে তথ্য দিয়েছেন তার সাথে গবেষণালব্ধ তথ্য-উপাত্তের কোনোই মিল নেই। তিনি বলেন, আমার গবেষণায় যা আছে তা হলো-আমার হিসেবে প্রায় পাঁচ দশকে (১৯৬৪ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত) আনুমানিক ১ কোটি ১৩ লাখ হিন্দুধর্মাবলম্বী মানুষ নিরুদ্দিষ্ট হয়েছেন । অর্থাৎ আমি কোথাও ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান নিখোঁজ রয়েছেন- এ কথা বলিনি। উপরন্তু তিনি কোথাও বললেন না যে আমার গবেষণা তথ্যটির সময়কাল ৫০ বছর- ১৯৬৪ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত।
তিনি আরও বলেন, প্রিয়া সাহা কখনো আমার সহ-গবেষক, গবেষণা সহযোগী অথবা গবেষণা সহকারী ছিলেন না। সেই সাথে বলেন একজন সমাজ গবেষক হিসেবে আমি নিশ্চিত হতে চাই যে প্রিয়া সাহা আমার নাম উল্লেখপূর্বক যেসব বিভ্রান্তিমূলক ও নীতি গর্হিত বক্তব্য দিয়েছেন তিনি অতি দ্রুত তা প্রত্যাহার করবেন।
স্বাআলো/এসএ
.
Admin
