ভয়াবহ বন্যা কেড়ে নিল ১৬৬ জনের প্রাণ

আন্তজার্তিক ডেস্ক : ভারতের আসাম এবং বিহারে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৬ জনে। ভয়াবহ বন্যায় ৩৩ জেলার প্রায় ১ কোটি ১১ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরই মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় কেরালা রাজ্যে ভারী বর্ষণের আশঙ্কায় ৪ জেলায় ‘রেড এলার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ। এদিকে, তুরস্কের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশে বন্যায় এক জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অপরিবর্তিত রয়েছে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতিও।

গেল কয়েকদিনের টানা বর্ষণে ভারতের আসামের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রক্ষপুত্রসহ নদ-নদীর পানির বাড়তে থাকায় নিচু এলাকার বাসিন্দাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। বাড়ছে হতাহতের সংখ্যাও। বাড়ি-ঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রের দিকে ছুটছেন। দেখা দিচ্ছে নানা ধরনের রোগবালাই। বন্যা কবলিতদের মাঝে জরুরি ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে মাঠে নেমেছেন সেনা সদস্যরা। রাজ্য সরকারের তথ্য মতো, আসামে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৯ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তবে, বৃষ্টি কমে আসায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

একই পরিস্থিতি রয়েছে আরেক রাজ্য বিহারেও। বন্যায় পানিতে ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বহু হেক্টর জমির ফসল প্লাবিত হওয়ায় দিশেহারা কৃষকরা। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত রাজ্যের প্রায় ৭৩ লাখ মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে, নতুন কোরে প্রবল বর্ষণে কেরালা রাজ্যে বন্যা দেখা দিয়েছে। রাজ্যের কাসারগর, ঈদুক্কি ও কান্নুরসহ চার জেলায় আগামী পাঁচদিন ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কায় ‘রেড এলার্ট’ জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ।

কোন উন্নতি হয়নি চীনের দক্ষিণ-পশ্চিাঞ্চলীয় গুইজো প্রদেশের বন্যার। অতিবৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা-ঘাট ধসে বন্ধ হয়ে গেছে যান-চলাচল। ট্রাফিক কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গা সংস্কারের কাজ চালাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা।

অপরিবর্তিত রয়েছে তুরস্কের উত্তরাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি। দুজেখ এবং আকাকোকা জেলায় পাহাড়ি ঢলে আটকে পড়া অর্ধশত মানুষকে হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করেছে দমকল বাহিনীর সদস্যরা।

স্বাআলো/এসএ

.

Author