ব্রহ্মপুত্র, ধরলার পানি আবারো বিপদসীমার ওপর

জেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম : উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ও টানা বৃষ্টিতে আবারো কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।  নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

গত এক সপ্তাহ ধরে নদ-নদীর পানি হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার নীচে নামলেও গত মঙ্গলবার থেকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে তিস্তা নদীর পানিও।

এতে করে কমতে থাকা বন্যার পানি ঘর-বাড়ি থেকে নেমে যেতে না যেতেই আবারো পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতংকিত হয়ে পড়েছে বানভাসী মানুষ। এ অবস্থায় বাঁধ ও উঁচু সড়কসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবাদি পশু নিয়ে আশ্রয় নেয়া মানুষদের ঘরে ফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

আরো পড়ুন>> কুড়িগ্রামে নৌকায় ৭ হাজার পরিবারের বসবাস

বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে পানি বাহিত রোগ। চরাঞ্চলের চারণভুমি তলিয়ে থাকায় গবাদি পশুর খাদ্য সংকট চরম আকার ধারন করেছে। হাতে কাজ ও ঘরে খাবার না থাকায় চরম খাদ্য সংকটে পড়েছেন চরাঞ্চলের বন্যা দুর্গত মানুষজন।  চলতি বন্যায় এ পর্যন্ত ১২ শিশুসহ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দীর্ঘদিন পানির নীচে তলিয়ে থাকায় জেলার ৯ উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমির ধান, পটল, মরিচসহ বিভিন্ন ফসল সম্পুর্ণ রুপে নষ্ট হয়েছে।

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী জানান, বন্যার পানি চরাঞ্চলের ঘর-বাড়ি থেকে নেমে না যেতেই আবারও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় বন্যা কবলিত মানুষজনের দুর্ভোগ আরো বাড়বে বলে জানান তিনি।

জেলার বন্যা কবলিত ৮ লক্ষাধিক মানুষের জন্য সরকারি ভাবে ১ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৭ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যাক্তি উদ্যোগে সামান্য ত্রাণ তৎপরতা শুরু হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

স্বাআলো/এম

.

Author