লাখ লাখ মানুষের প্রাণ গিয়েছে, তবু অভিঘাত থামেনি। দ্বিতীয় ঢেউ উঠতেই নতুন করে প্রাণ কাড়ছে করোনা। তাই নতুন করে লকডাউন জারি হলো জার্মানি, ফ্রান্স ও বেলজিয়ামে।
গত বুধবারই জার্মান চান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল জানিয়ে দেন আগামী ২ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে জার্মানি জুড়ে। বন্ধ থাকবে সমস্ত পানশালা ও রেস্তোরাঁ। বন্ধ থাকবে সিনেমা হল, থিয়েটার, কনসার্ট, খেলার মাঠ,বানিজ্য প্রদর্শনীতে। শর্তসাপেক্ষ ভাবে কয়েকটি দোকান খোলা থাকতে পারে।
প্রতিদিন প্রায় ৩৬ হাজার করে সংক্রমণ হচ্ছে ফ্রান্সে, নতুন করে। পরিস্থিতি বুঝে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন কার্ফু জারি করেন। জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত টিভি ভাষণে তিনি বলেন, আমাদের অন্যান্য প্রতিবেশীর মতো আমাদের ঘরেও নতুন করে ভাইরাসের ঢেউ আছড়ে পড়ছে। তাই আমরা চাইছি আবার নতুন করে লকডাউন জারি করতে।
শুক্রবার থেকেই লকডাউন চালু হচ্ছে ফ্রান্সে। বলা হচ্ছে ঘরের বাইরে বেরোতেও পুলিশি অনুমতির প্রয়োজন হবে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য কেনার ব্যাপারে ছাড়পত্র পাওয়া যাবে। ওয়ার্ক ফ্রম হোমেই জোর দেয়া হবে।
করোনাভাইরাসের পুনরুত্থানে বেলজিয়ামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া আগে থেকে কার্যকর রাত্রিকালীন কারফিউ এবং বার, রেস্টুরেন্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
পাকিস্তানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়সাল সুলতান গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ কথা জানান।
ব্রিটেনে মাসব্যাপী দ্বিতীয় লকডাউনের ঘোষণা আসছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা মোকাবেলায় সোমবার ব্রিটেন প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে ষ্টে হোম নামের নতুন এই লকডাউনের ঘোষণা আসতে পারে।
প্রথম লকডাউনের পর ব্রিটেনজুড়ে বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক লকডাউন দেয়া হলেও তা পরবর্তীতে অকার্যকর বলে প্রমাণিত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রিটেনে করোনার প্রথম তরঙ্গের চেয়ে দ্বিতীয় তরঙ্গে বেশি সংখ্যক প্রাণহানি ঘটতে পারে।
ব্রিটেনের বিভিন্ন সংস্থা গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই দেশজুড়ে দ্বিতীয় লকডাউনের দাবি জানিয়ে আসছে। তবে সরকার দেশের অর্থনীতি রক্ষার প্রশ্নকে সামনে এনে পুরো দেশে লকডাউন না দেয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল ।
তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় সোমবার থেকে নতুন লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কায় মাঠ পর্যায়ে প্রস্তুতি রাখতে প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মাস্ক ব্যবহারে অনীহা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ থেকে জনগণের সুরক্ষায় বৃহত্তরভাবে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
গত সোমবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বেঠকে যোগ দিয়ে এ নির্দেশনা দিয়েছিলেন তিনি।
স্বাআলো/এসএ
