
: প্রভাতে শিশির ভেজা ঘাস আর হালকা কুয়াশার চাদর জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। দেশের উত্তরের গ্রামীণ জনপদে মৌসুমী খেজুরের রস দিয়েই শীতের আমেজ শুরু হতো।কিন্তু এখন সে দৃশ্য ভিন্ন।
শীতের সকালে মিষ্টি রোদে বসে সুস্বাদু খেজুরের রস খাওয়ার মজাই আলাদা। শীতকালে নতুন ধানের চাল দিয়ে বিভিন্ন রকমের পিঠা পায়েস তৈরিতে খেজুরের রস ও গুড়ের কোন জুড়ি নেই।
কিন্তু গ্রাম বাংলার সেই ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খেজুরের রস এখন আর তেমনটা দেখা যায় না। এক সময় লালমনিরহাটের বিভিন্ন উপজেলার মানুষ শীত মৌসুমে খেজুর গাছের রসের ওপর নির্ভরশীল ছিল।
নিপাভাইরাস জনিত কারণে এখন আর আগের মত খেজুরের রস খেতে চায় না মানুষ। হালে কমে গেছে গাছির সংখ্যা। গ্রাম পর্যায়ে বর্তমান প্রজন্মের তরুণরা লেখাপাড়া শিখে কৃষিকাজ ছেড়ে অন্য পেশায় যুক্ত হচ্ছে। তারা পূর্ব পুরুষের পেশায় অনভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। তারা পৈত্রিক পেশায় যুক্ত না হওয়ায় নতুন গাছি সৃষ্টি হচ্ছে না। এদিকে প্রবীণরা শক্তি সামর্থের অভাবে গাছে উঠতে না পারায় গাছির সংখ্যা কমছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা গ্রামের গাছি মান্নান জানান, তিনি তার বাবাকে রস সংগ্রহ করতে দেখেছেন সেই ছোটবেলা থেকেই। তখন প্রচুর রস আসত বাড়িতে। খেজুরের গুড়ের গন্ধে ম ম গন্ধে ভরে উঠতো পুরো বাড়ি।
গাছি উমর আলী জানান, সাধারণত একটি খেজুর গাছ রসের উপযুক্ত হতে প্রায় ৫-১০ বছর সময় লাগে। আর একটি গাছ থেকে রস পাওয়া যায় ২০-২৫ বছর পর্যন্ত। তবে প্রতিটি গাছে কী পরিমাণ রস পাওয়া যাবে, তা নির্ভর করে গাছির দক্ষতা এবং গাছের ওপর।
স্বাআলো/আরবিএ
.
Admin
