
তিস্তার ধু-ধু বালুচরে ব্যাপকহারে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। কৃষকরা এবার এই ফসলের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন।
বন্যার কারণে আমনের যে ক্ষতি হয় তা পুষিয়ে নিতে তিস্তার চরে আগাম ভুট্টা চাষ করেছেন এলাকার কৃষকরা। গড্ডিমারী গ্রামের তিস্তার চর এলাকার ভুট্টা চাষি শরিফুল ইসলাম বলেন,ভুট্টা আবাদের টাকা দিয়ে সারা বছর পরিবারের ভরণ- পোষণ চলে। নিজের জমি ১ বিঘা থাকলেও অন্যর ৫ বিঘা জমি চুক্তিতে নিয়ে ভুট্টা আবাদ করেছি। প্রতিবিঘা জমির জন্য সাড়ে চার হাজার টাকা দিয়েছি। সার, বীজ ও সেচসহ সব ব্যয় বাদ দিয়েও প্রতি বিঘায় ৭-৮ হাজার লাভ হবে । আগাম ভুট্টা আবাদ করলে ফলন ভাল হয় তাই আমি আগাম ভুট্টা চাষ করেছি।
এলাকার কৃষকরা বলেন, তামাক ও গম চাষ করলে যে, লাভ হয় তার চেয়ে দ্বিগুণ লাভ হয় ভুট্টায়। প্রতি বিঘায় ৪০-৪৫ মণ পর্যন্ত ভুট্টা হয়।
পাটিকাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল আলম সাদাত বলেন, এ উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ভাঙন কবলিত। অন্য ফসল চর এলাকায় আবাদ করলে ফলন ভাল হয়না ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, এ উপজেলায় গত বছরে ভুট্টা চাষ হয়েছিল ১২ হাজার ৮৮৯ হেক্টরে। এ বছর ১২ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। আশা করছি আগামীতে কৃষক সমাজ তামাক চাষ ছেড়ে দ্বিগুণ হারে ভুট্টা চাষ করবে।
স্বাআলো/আরবিএ
.
Admin
