বিপর্যস্ত ২০২০কে বিদায়, স্বাগতম ২০২১

করোনা মহামারির মধ্যেই জমকালো আতশবাজি আর আলোকসজ্জার মধ্য দিয়ে দেশে দেশে বরণ করে নেয়া হচ্ছে খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২১। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ২০২১ সালকে বরণ করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এরপরই নতুন বছরকে স্বাগত জানায় অস্ট্রেলিয়া।

এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানসহ প্রশান্ত মহাসাগীয় অঞ্চলের দেশগুলোও নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। করোনা মহামারির কারণে জনসমাগমের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে বিভিন্ন দেশ।

মহামারিতে বিপর্যস্ত ২০২০ সালকে বিদায় দিয়ে যাত্রা শুরু হলো ২০২১-এর। ঘড়ির কাটায় রাত ১২টা বাজার সাথে সাথে বিশ্বে প্রথম দেশ হিসেব নতুন বছরকে স্বাগত জানায় নিউজিল্যান্ড। অকল্যান্ডের স্কাই টাওয়ারে আয়োজন করা হয় মনোজ্ঞ আতশবাজির। করোনার কড়াকড়ির মধ্যেই আলোর উৎসব দেখতে জড়ো হন বহু মানুষ।

এরপরই খ্রিষ্টীয় বর্ষবরণের উৎসবে মেতে উঠে অস্ট্রেলিয়া। প্রতি বছরের মতো সিডনি হারবারে ঐতিহ্যবাহী আতশবাজির আয়োজন ছিল এবারও। তবে, সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে নিষিদ্ধ ছিল জনসমাগম। মানুষের উপস্থিতি ছাড়াই হয় আতশবাজি। বাতিল করা হয় মেলবোর্নের অনুষ্ঠান।

আরো পড়ুন>>>দ্রুতই বাংলাদেশে হবে বিশ্বের ২৫তম অর্থনৈতিক শক্তি, বলছে বিদেশি গবেষণা

নববর্ষকে ঘিরে জাপানে বিভিন্ন মন্দিরে মানুষ সমবেত হয়। খ্রিষ্টীয় নতুন বছর এবং জাপানের রেইয়া যুগের প্রার্থনা করে তারা। জাপানের নিজস্ব প্রাচীন ক্যালেন্ডারের সঙ্গে সম্রাটদের শাসনের সম্পৃক্ততা রয়েছে।

বর্নিল আতশবাজী আর আলোকসজ্জার মধ্যদিয়ে ২০২১ সালকে বরণ করে নিয়েছে চীনের আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকং। চিরায়ত প্রথা অনুযায়ী ভিক্টোরিয়া হারবারে আতশবাজির আয়োজন করা হয়।

এছাড়া, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে ২০২১ সালকে বরণ করে নেয়া হয়েছে। তবে কোভিডি উনিশ-এর কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সীমিত করা হয়েছে বর্ষবরণ উদযাপন। অনেক দেশেই জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংক্রমণ এড়াতে প্রতিবেশী দেশ ভারতের রাজধানী দিল্লিতে দু’দিনের কারফিউ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।

স্বাআলো/আরবিএ