চুয়াডাঙ্গায় হেলিকপ্টারে চড়ে সালিশে এসে জনরোষে আসক কর্মকর্তারা (ভিডিও)

চুয়াডাঙ্গা: ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে সালিশ করতে এসে জনরোষ ও তোপের মুখে পড়েছেন আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা।

শনিবার বেলা ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া বাজারে বাপ-ছেলের মধ্যে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে আপোষ মীমাংসা করতে এসে তোপের মুখে পড়েন আইন সহায়তা কেন্দ্রের ওই কর্মকর্তারা। এক পর্যায়ে জীবননগর থানা পুলিশের সহায়তা নিয়ে আইন সহায়তা কেন্দ্রের ৩ জন বেলা ৪ টার সময় হেলিকপ্টারযোগে এবং বাকি সদস্যরা সড়ক পথে নিরাপদে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

চুয়াডাঙ্গায় অপহরণের পর প্রবাসীর ছেলেকে হত্যা, লাশ উদ্ধার

আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শহীদুল ইসলাম মুক্তার জানান, জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফের জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তার সাথে তার তিন ছেলের মত বিরোধ শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ওই এলাকার সুধী ব্যক্তিরা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। এর কিছু দিন পর আব্দুল লতিফের ছেলে মোস্তফা তাজওয়ার আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকাতে তার পিতার বিরুদ্ধে একটা লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে আইন সহায়তা কেন্দ্রের সহকারী বিভাগীয় প্রধান (ঢাকা জোন) মুহাম্মদ মাসুম বল্লাহ ২৮ ডিসেম্বর আব্দুল লতিফের কাছে একটি সালিশ বৈঠকের জন্য নোটিস দেন। সে মোতাবেক বাপ-ছেলের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে সালিশের জন্য আজ বেলা ১২ টার সময় ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে ঘটনাস্থলে আসেন আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় প্রধান লোকমান হোসেন, তার ব্যক্তিগত সহকারী সোহেল রহমান এবং সহকারী বিভাগীয় প্রধান মাসুম বিল্লাহ। বেলা সোয়া ১ টার সময় হেলিকপ্টার আন্দুলবাড়িয়া বাজারে অবতরণ করার পর আইন সহায়তা কেন্দ্রের ওই কর্মকর্তারা হেলিকপ্টার থেকে বেরিয়ে আসলে তারা স্থানীয় লোকজনদের তোপের মুখে পড়েন। এর কিছুক্ষণ পর আইন সহায়তা কেন্দ্রের আরো ২০-২৫ জন সদস্য ঢাকা থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে (মাইক্রোবাস) করে আন্দুলবাড়িয়া বাজারে আসেন। এসময় তারাও বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে আইন সহায়তা কেন্দ্রের তোপের মুখে পড়েন। এক পর্যায়ে স্থানীয় জনসাধারণ আইন সহায়তা কেন্দ্রের সদস্যদেরকে মারতে উদ্যত হলে জীবননগর থানা পুলিশের সদস্যরা স্থানীয় লোকজনদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে বেলা সাড়ে ৪ টার দিকে আইন সহায়তা কেন্দ্রের তিন কর্মকর্তা পুলিশের সহায়তা নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে চলে যান। পরে আইন সহায়তা কেন্দ্রের অন্য সদস্যরা সুযোগ বুঝে মাইক্রোবাসযোগে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

জীবননগর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সামান্য একটা বিষয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে ঢাকা থেকে আইন সহায়তা কেন্দ্রের নামে এখানে আসা ঠিক হয়নি। পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠছিলো। কিন্তু পুলিশের তৎপরতায় সেটা হয়নি।

স্বাআলো/এসএ