‘পরনের কাপড় নেই, স্ত্রীর ওড়না পরেন স্বামী!’ শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরই বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের নজরে এলে তাৎক্ষণিক সহায়তা দেয়া হয়।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকার চেক দেয়া হয়। এছাড়া ওই ভিক্ষুক দম্পতির নিজস্ব জমিতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ কর্মসূচির আওতায় ঘর নির্মাণের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। খবর প্রকাশের দিন থেকে এ পর্যন্ত নগদ অর্থ, খাদ্য সামগ্রী, আসবাবপত্র ও কাপড় কম্বলসহ প্রায় লাখ টাকার সরকারি-বেসরকারি সহায়তা পেয়েছেন।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন ও সমাজ সেবা অধিদফতরের আয়োজনে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ‘ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে, সেবা ও সুযোগ প্রান্তজনে’ প্রতিপাদ্যে নিয়ে সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদের হাতে চেক ও নগদ অর্থ তুলেদেন সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা।
অসহায় বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার
জেলা প্রশাসক মতিউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হুমায়ন কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত হাসান খান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শীলা রাণী দাস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লতিফা জান্নাতীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
অনুভূতি প্রকাশ করে সভায় বৃদ্ধ সুলতান ডাক্তার বলেন,‘আমি একদিন খেলে তিনদিন না খেয়ে থাকতাম। আমি অক্ষম, আমার স্ত্রী ভিক্ষা করে এনে আমারে খাওয়ায়। আজ আমার ভাঙা ঘরে খাবারে ভরা, সোলার, লেপ, তোষক পাইছি। আর কিছু চাইনা। তবে আমার একটু জমি আছে, সেখানে একটা ঘর বানিয়ে কয়দিন থেকে মরতে চাই।
সুলতান ডাক্তারের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক বলেন, তিনি চাওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ কর্মসূচির আওতায় ঘর নির্মাণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এজন্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ভিক্ষুক দম্পতি এ পর্যন্ত যা যা পেয়েছেন, তোষক একটি, লেপ একটি, সোলার সিস্টেম একটি, লুঙ্গি সাতটি, শাড়ি সাতটি, জ্যাকেট দুইটা, কম্বল ছয়টা, পাঞ্জাবি একটি, গামছা দুটি, মোবাইল ফোন সিমসহ একটি, ৭০ কেজি চাল, তেল ১২ লিটার, ডাল পাঁচ কেজি, পেঁয়াজ আট কেজি, চিড়া ৪ কেজি, লবন ৩ কেজি, চিনি ৫ কেজি।
স্বাআলো/এসএ