চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত হাই স্কুলের শিক্ষক মোজাফফর আলী ওরফে জহুরুলের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরকীয়া করায় তার স্ত্রীর রবিবার বিষপান করেন। তিনি এখন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকরা বলছেন তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
হানুফা বেগমের মা বলেন, জহুরুলের পরকীয়ার কারণে আমার মেয়ে অতিরিক্ত টেনশনে বিষপান করে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলো।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত হাই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী স্বর্ণালি খাতুনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন শিক্ষক মোজাফফর আলী ওরফে জহুরুল ইসলাম। সেই সুবাদে ছাত্রী স্বর্ণালি জহুরুল ইসলামের শশুরবাড়ি দৌলতদিয়াড়ে প্রায় যাতায়াত করতেন। এক পর্যপর্যায়ে জহুরুল ইসলামের পুত্র শুভনের সাথে স্বর্ণালি পুনরায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষটি তার মা হানুফা বেগম জানতে পারায় ছেলের সাথে গোপনে স্বর্ণালির বিয়ে দিয়ে দেন। এতেই বাধ সাথে স্বামী জহুরুল ইসলাম।
বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মাঝে মাঝেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এক পর্যায়ে সহ্য করতে না পেরে স্ত্রী হানুফা বেগম আজ রবিবার সকালে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ফিমেইল মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজন।
আরো পড়ুন>>>চুয়াডাঙ্গায় চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু
এরপর বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে অভিযুক্ত জহুরুল ইসলাম তার স্ত্রীকে সাংবাদিকদের সামনে মানসিক ভারসাম্যহীন হিসেবে বলতে থাকেন এবং স্ত্রী ও শাশুড়িকে হুমকি দেন।
হায়দারপুর গ্রামবাসীর অভিযোগ, হানুফা জহুরুলের গ্রামের বাড়ি হায়দারপুরে কাজ করতেন। কাজ করার সুবাদে তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গুড়ে তোলেন। এরপর বিয়েও করেন। কিন্তু জহুরুলের পরিবার বিষয়টিকে মেনে নেয়নি। ফলে জহুরুলের স্ত্রী হানুফা থাকতেন চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের দৌলতদিয়াড়ে। দৌলতদিয়াড়ে তিনি মাঝে মাঝে যাতায়াত করতেন। বেশির ভাগ সময় তিনি নিজ গ্রাম হায়দারপুরে অবস্থান করতেন।
স্বাআলো/আরবিএ