নাইজারে সন্দেহভাজন জঙ্গি হামলায় ৭৯ জন নিহত

নাইজারের দুটি গ্রামে হামলায় কমপক্ষে ৭৯ জন নিহত হয়েছে। ইসলামি জঙ্গিরা এ হামলা চালিয়েছে বলে সন্দেহ করছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।

রয়টার্সের খবরে জানা যায়, নিরাপত্তা বাহিনীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র বলছে, হামলায় তোকোমবাঙ্গু গ্রামে ৪৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১৭ জন।

নাইজারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, জারোমদারে গ্রামে হামলায় ৩০ গ্রামবাসী নিহত হয়েছে। নাইজার সরকারের পক্ষ থেকে হামলার ঘটনায় কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ২০০ মিটার সুড়ঙ্গের রহস্য কী?

নাইজারের তিলাবেরি অঞ্চলে গ্রাম দুটি অবস্থিত। ২০১৭ সাল থেকে ওই এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে। নাইজারে জঙ্গিগোষ্ঠী প্রায়ই হামলা চালায়। গত মাসে নাইজারের বোকো হারাম দলের হামলায় দিফা এলাকায় কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়।

তিলাবেরির ঊর্ধ্বতন আঞ্চলিক এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, বন্দুকধারীরা দুপুরের দিকে এই হামলা চালিয়েছে। এতে অনেক মানুষ নিহত হয়েছে। তবে তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেননি।

নাইজারের স্থানীয় রেডিও স্টেশনের এক সাংবাদিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে জানান, হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত হয়। আহত ব্যক্তিদের কুয়ালাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পশ্চিম আফ্রিকার মালি সীমান্তবর্তী দেশ নাইজারে এর আগেও আল–কায়েদার সঙ্গে জড়িত ইসলামি জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছে। গত বছর মালি ও বুরকিনা ফাসোর পশ্চিম সীমান্তে এবং নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে হামলায় কয়েক শ মানুষ নিহত হয়েছে।

বিবিসির খবরে জানা যায়, আফ্রিকার সাহেল এলাকায় বেশ কয়েকটি সহিংস হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার মালিতে হামলায় ফ্রান্সের দুই সেনা নিহত হয়।

এর আগে গত সোমবার মালিতে আরেকটি হামলায় নিহত হয় ফ্রান্সের তিন সেনা। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে আল–কায়েদার সঙ্গে যুক্ত একটি জঙ্গি দল।

নাইজারে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম দফা ফল ঘোষণার দিনে এই হামলা হয়েছে।

স্বাআলো/এসএ