ফসলি জমিতে পুকুর কেটে মাটি ইটভাটায় বিক্রি

আক্কেলপুর (জয়পুরহাট): ফসলী জমিতে পুকুর কেটে মাটি বিক্রি করার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার। খননকৃত পুকুরের মাটি ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হচ্ছিল।

উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ১০ হাজার ৫০০ হেক্টর ফসলী জমি আছে। এ জমিতে সারা বছরই কোন না কোন ফসলের আবাদ করেন কৃষকেরা। স্থানীয় কিছু মাটি ব্যবসায়ীদের প্রলোভনের পড়ে তাদের ফসলী জমির মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। মাটি ব্যবসায়ীরা প্রতি গাড়ি (ট্রাক্টর) ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় ইটভাটাসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছেন।

দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহারে সুপারিশ করতে পারবে না সরকার: হাইকোর্ট

উপজেলার পাঠানধারা গ্রামের কৃষক মিঠু হোসেন তার ২২ শতক জমির মাটি বিক্রির উদ্দেশ্যে পুকুর খনন করছেন। এ পুকুরের পাড়ের কারণে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বাধ্য হয়েই কেউ কেউ মাটি ব্যবসায়ীদের কাছে পাশের জমিতেও পুকুর খনন করে নিচ্ছেন।

জমির মালিক মিঠু হোসেন বলেন, আমার ওই জমিতে তেমন ফসল হয় না। তাই জমিতে পুকুর খনন করছি। তবে আমি মাটি বাহিরে বিক্রি করিনি।

পাঠানধারা গ্রামের ৫-৭ জন কৃষক জানান, মাঠের বিভিন্ন জমি থেকে মাটি ব্যবসায়ীরা মাটি কেটে নিয়ে যাাচ্ছন। আবার অনেকে পুকুর খনন করার বিনিময়ে মাটি ব্যবসায়ীদের মাটি দিয়ে দিচ্ছেন। একটি ফসলির জমির পাশে পুকুর খনন করা হলে কয়েক বছর পর ওই পুকুরের পাড় ভেঙে পাশের ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

স্বাআলো/এসএ