সচিবের কক্ষে তালা, বাইরে অপেক্ষায় সেবাগ্রহীতারা

যশোরের মণিরামপুরের খেদাপাড়া ইপির সচিব মৃণালকান্তির বিরুদ্ধে ঠিকমত অফিসে হাজির না থাকার অভিযোগ উঠেছে।

আজ রবিবার দুপুর একটার পরে তার কক্ষে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। এসময় সেবাগ্রহীতা বেশ কয়েকজনকে পরিষদের মাঠে অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।

শুধু রবিবার নয়, সচিব মৃণালকান্তির বিরুদ্ধে নিত্য দেরিতে অফিসে যাওয়ার অভিযোগ স্থানীয়দের।

আজ রবিবার পর্যন্ত দুপুর সচিবের কক্ষ অভি ও বাইরে বেশ কয়েকজন সেবাগ্রহীতার অপেক্ষায় থাকা সংক্রান্ত কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। বিএম হাফিজুর রহমান নামে স্থানীয় এক সাংবাদিক তার আইডিতে ছবিগুলো আপলোড দেন। এরপর সমালোচনা শুরু হয়। অনেকে তদন্তপূর্বক সচিবের শাস্তির দাবি তুলেছেন।

খেদাপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহবায়ক হাদিউজ্জামান বলেন, আমি দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে পরিষদে গিয়েছিলাম। তখন দেখি সচিবের কক্ষে তালা ঝুলছে। বাইরে বহুমানুষ অপেক্ষা করছেন।

তবে এই বিষয়ে সচিব মৃণালকান্তি ও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন।

আরো পড়ুন>>>মণিরামপুরে চাল উদ্ধার: সাংবাদিকদের সাথে কথা বলায় উপজেলা চেয়ারম্যানকে হত্যার হুমকি

সচিব মৃণালকান্তি বলেন, ব্যাংকের কাজে মণিরামপুর বাজারে ছিলাম। তাই আসতে দেরি হয়েছে। আমি সাড়ে ১২টার দিকে পরিষদে এসেছি। যদিও সাংবাদিক হাফিজুর দাবি করেছেন, ছবিগুলো রবিবার দুপুর একটা ২০ মিনিটে তোলা।

এখন শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভর্তি চলছে। তাই সন্তানদের জন্মসনদ নিতে নিত্য খেদাপাড়া ইউপি পরিষদের সচিবের কাছে যেতে হচ্ছে অভিভাবকদের।

এর আগেও দেরিতে পরিষদে যাওয়ার কারণে সচিব মৃণালকান্তিকে নিয়ে গণমাধ্যমে লেখালিখি হয়েছে। তারপরও তার পরিবর্তন হয়নি বলে অভিযোগ।

খেদাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হক বলেন, দুপুরে উপজেলা পরিষদে ইউএনওর সাথে সচিবের মিটিং ছিল। তাই তিনি সময়মত পরিষদে হাজির হতে পারেননি।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, খেদাপাড়া ইউপির সচিব দেরিতে পরিষদে যাওয়ার বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। সচিবকে দেখা করতে বলেছি। সঠিক জবাব না দিলে পারলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

স্বাআলো/আরবিএ