বিষ ঢেলে দিয়ে ৪০০ হাঁস মারলো দুর্বৃত্তরা

এবার ফসল কেটে ও মাছ মেরে নয়, দুর্বৃত্তরা যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জলেশ্বর বিলে বিষ ঢেলে দিয়ে ৪ শতাধিক হাঁস মেরে সর্বস্বান্ত করলো এক হাঁস পালককে। অমানুষ না হলে কেউ মানুষের কষ্টের উপার্জিত সম্পদ এভাবে নষ্ট করতে পারে না। এর আগে দেখা গেছে গ্রামাঞ্চলে কোনো কৃষকের সাথে যদি কারো দ্বন্দ্ব কলহো হয় তাহলে প্রকাশ্যে কৃষকের বিরুদ্ধে কিছু না করে তার ফসল নষ্ট করে দিয়ে তাকে সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে। এমন ধরনের ঘটনা সন্ত্রাসীরা প্রায়শ ঘটাচ্ছে। দুর্বৃত্তরা হাঁস ধ্বংসের মাধ্যমে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে।

আমরা এর আগে বিভিন্ন সময় দেখেছি দুর্বৃত্তরা যশোর, ঝিনাইদহ, বাগেরহাটসহ বিভিন্ন জেলার কৃষকদের ফসল নষ্ট করে দিয়েছে। গ্রাম এলাকায় একটা কথা প্রচলিত আছে, ‘এক জায়গায় চাঁদ উঠলে সব জায়গায় ওঠে।’ ফসল নষ্ট করে কৃষককে ক্ষতি করার দুর্বৃত্তদের এ কৌশল সব জায়গায় শুরু হয়েছে। এরই অনুকরণে এবার বিষ ঢেলে হাঁস ক্ষতি করা শুরু করলো তারা। জানিনে এ ধারা কতদিন চলবে। ফসল ও মাছ ক্ষতির অভিযোগ পুলিশের কছে করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টাকে হয়তোবা পুলিশ গ্রাম্য ঘটনা বলে গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু বিষয়টা কোনোক্রমেই অবহেলা করার মতো নয়। কারণ বিষয়টি উৎপাদনের। যার সাথে মানুষের বেঁচে থাকার সম্পর্ক জড়িত। ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের শরীরের রক্ত পানি করে উৎপাদন করেন। সেই উৎপাদিত পণ্য/সম্পদে দেশের মানুষের ক্ষুধার অন্ন এবং পুষ্টির উপকরণ হয়। দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলেই সম্ভবত দুর্বৃত্তরা একই অপরাধ বার বার ঘটাতে আষ্কারা পাচ্ছে।

আরো পড়ুন>>> মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, তবু মদ পানে মৃত্যু

উৎপাদনে যারা বাধা দেয়, নানা কৌশলে যারা ক্ষতি করতে পারে তারা পারে না এমন কোনো অপরাধ নেই তাদের কাছে। এদের দমনে শৈথিল্য প্রদর্শন জাতির ক্ষতিকে তরান্বিত করার শামিল। এই নষ্ট করার কয়েকটি ঘটনা থেকে যা জানা গেছে তাতে ক্ষতিগ্রস্তরা বেশুমার ক্ষতির যে বর্ণনা আমরা পেয়েছি তাতে ওই তারা সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন। ক্ষতিকারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এক দিন দেখা যাবে উৎপাদনকারীরা উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হচ্ছে, যা জাতির জন্য শুভ খবর নয়। এমন একটি অবস্থা হবার আগেই সম্পদ বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

স্বাআলো/এস