১৮২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ভারত-বাংলাদেশ দুই বাংলার দঃ বাঁশজানি- ঝাকুয়াটারী জামে মসজিদ। উপমহাদেশ বিভক্ত হলেও বিভক্ত হয়নি মসজিদটি। দুই দেশের মুসল্লীদের সেতু বন্ধন কালের সাক্ষি হয়ে দাঁড়িয়ে আছে জরাজীর্ণ এ মসজিদটি।
দুই বাংলার এ মসজিদটির একাংশ বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বাঁশজানি গ্রামে এবং অপর অংশ ভারতের পশ্চিম বঙ্গের কোচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জের ঝাকুয়াটারী গ্রামে। এ কারনে এই মসজিদটির নামকরন করা হয়েছে বাঁশজানি ঝাকুয়াটারী জামে মসজিদ। মসজিদটি আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার বাংলাদেশ ৯৭৮ এস এবং ভারতের সীমান্ত পিলার ৯৭৬-৯ এস এ অবস্থান।
এপার-ওপার বাংলার বিধিনিষেধ সংস্কৃতি আলাদা হলেও বাঁশজানি-ঝাকুয়াটারী জামে মসজিদের মুসল্লীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতায় আজো অব্দি সেখানে কোন রকম অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি।
আরো পড়ুন>>>কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পাচ্ছে কুড়িগ্রাম
এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসা ভারতীয় নাগরিক মোজাম্মেল হক বলেন, বংশ পরম্পরায় আমরা এই মসজিদে নামাজ পড়ে আসছি।ধর্মীয় উৎসব কিংবা মসজিদের উন্নয়নে মিলেমিশে চাঁদা তুলে কাজ করে যাচ্ছি। এযাবত কাউকে কোন প্রকার অসুবিধা কিংবা আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতে শুনিনি। আমরা ভালো আছি।
বাংলাদেশের নাগরিক এরশাদুল হক জানান, এ গ্রামে কাঁটাতারের বেড়া না থাকলেও এখানে কোন প্রকার অসামাজিক কার্যকলাপ হয় না। ঈদ উৎসবে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে উৎসব পালন করি।
৪৬ বছর ধরে ইমামের দায়িত্বে থাকা আবু বক্কর সিদ্দিক জানান,দীর্ঘ ইমামতির বয়সে এ এলাকায় কোন বিশৃঙ্খলা চোখে পড়েনি।আমরা সবাই মিলেমিশে আছি।
ভুরুঙ্গামারী উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুন্নবী খোকন জানান,বাঁশজানি-ঝাকুয়াটারী জামে মসজিদ দুই বাংলার মানুষের মেলবন্ধনের একটি তীর্থ স্থান হয়ে উঠেছে।এই মসজিদটির উন্নয়নের জন্য সরকারের নজরে আনার চেষ্টা চালাচ্ছি।
স্বাআলো/আরবিএ