মাশরাফি-মাহমুদউল্লাহর বাদ পড়া নিয়ে মুখ খুললেন সাকিব

ওয়ানডে দল থেকে প্রথমবার বাদ পড়লেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, অন্যদিকে টেস্ট দলে জায়গা হয়নি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ক্যারিবীয় সিরিজকে সামনে রেখে দেশের ক্রিকেট অঙ্গন উত্তপ্ত এই দুই ইস্যুতে। এরই মাঝে মাশরাফি-মাহমুদউল্লাহদের না থাকার বিষয়ে মুখ খুলেছেন আরেক তারকা সাকিব আল হাসান।

এক টেলিভিশন চ্যানেল সাক্ষাৎকারে সাকিব প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন, পারফরম্যান্স দিয়ে মাশরাফি-মাহমুদউল্লাহ দুজনই ফের ফিরবেন দলে, যে দলে আপাতত ব্রাত্য তারা। দুইজনের অন্তর্ভুক্তি দেখতে না পেয়ে সমর্থকদের বড় অংশ হতাশ হলেও নির্বাচকদের সিদ্ধান্তে সম্মান জানাচ্ছেন সাকিব।

মাহমুদউল্লাহর বিষয়ে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদের ব্যাপার। তবে এক সিরিজে বাদ পড়া মানেই একেবারে বাদ পড়া নয়। উনি যেভাবে সবসময় লড়াই করে কামব্যাক করেছেন, পরের সিরিজেই এমন হতে পারে। পরের টেস্টের আগে অনেক বিরতি আছে, এই সময়ে নতুন করে ভাবনার সুযোগ থাকবে। ঘরোয়া ক্রিকেট হলে নির্বাচকরা পারফরম্যান্স দেখার সুযোগ পাবেন।

আরো পড়ুন>>> প্রথম দফা করোনা পরীক্ষায় সকল ক্রিকেটার নেগেটিভ

মাশরাফি নেই দলে, অথচ বাংলাদেশ খেলবে ওয়ানডে- নিঃসন্দেহে অচেনা দৃশ্যের অবতারণা হওয়ার অপেক্ষা। সাকিবের কাছেও মাশরাফিহীন এই সময়টা ‘কঠিন’। তিনি জানান, কঠিন একটা সময়, কিন্তু বাস্তবতা এটাই। যেহেতু উনি এখনো নিজেকে প্রস্তুত রেখেছেন… বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে বেশ আশানুরূপ পারফরম্যান্সই ছিলো। সামনে যদি প্রিমিয়ার লিগ বা ওয়ানডে ফরম্যাটের খেলা হয়, সেখানে যদি উনি ভালো করেন, তাহলে নির্বাচক বা টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে নিয়ে না ভাবার কোনো কারণ নেই।

সম্প্রতি ১০ বছর পর জাতীয় দলে ফিরে শতক হাঁকিয়েছেন পাকিস্তানের ফাওয়াদ আলম। সাকিবের বিশ্বাস, ফাওয়াদের মত কামব্যাকের নজির করবেন মাশরাফি-মাহমুদউল্লাহরা।

তিনি বলেন, কোনো খেলোয়াড় অবসর নেয়ার আগে এই সুযোগ খোলা থাকে। আমি যদি পাকিস্তানের ফাওয়াদ আলমের উদাহরণ দেই, ওর প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির ১০ বছর পর ফিরে দ্বিতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। সে যেহেতু করতে পেরেছে, তাহলে তাদেরও যদি ইচ্ছা থাকে আর পারফরম্যান্সও ভালো হয়, সুযোগ মিলতেই পারে।

স্বাআলো/এস