সরকারি অফিস এভাবে চলতে পারে না

‘লেট লতিফ বলে একটি প্রবাদের কথা আমরা সবাই জানি। নিন্দা অর্থে প্রবাদটি চালু হলেও আমরা কেউ ওই নিন্দা এড়াতে সতর্ক হইনে। তার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ যশোরের মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের কর্তকর্তাদের সময়ানুবর্তীতার প্রতি অবহেলা। অনলাইন নিউজ পোর্টাল স্বাধীন আলো ৭ জানুয়ারি এ বিষয়ে একটি সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিয়ম মেনে অফিসে না আসার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অভিযোগ রয়েছে তারা কেউ সকাল নয়টায় অফিসে ঢোকেন না। নানা অজুহাত দেখিয়ে তারা দেরিতে অফিসে আসেন। অনেকে আবার অফিস ছাড়েন বিকেল পাঁচটার আগে। অফিসে এসে সেবাগ্রহীতারা তাদের না পেয়ে খোঁজ নিতে গেলে জানতে পারেন, দফতরের কাজে কর্তারা বাইরে আছেন।

৬ জানুয়ারি সরেজমিনে সকাল নয়টা সাত মিনিট থেকে নয়টা ৩৮ মিনিট পর্যন্ত উপজেলা পরিষদের সব দফতর ঘুরে কোন কর্মকর্তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। কোন কোন দফতরে অফিস খুলে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের কাজ করতে দেখা গেছে। আবার কিছু দফতরের মেইন ফটকে বা দফতরে প্রধানের কক্ষের দরজায় তালা ঝুলতে দেখা গেছে। তবে এসময় বিএডিসি অফিসের সহকারী প্রকৌশলী সন্তু সাহাকে অফিসে বসে কাজ করতে দেখা গেছে।

অভিযোগ রয়েছে, বেশিরভাগ দফতরের কর্মকর্তারা দশটার পরে অফিসে আসেন। যদিও নীতিমালায় রয়েছে, অফিসের কর্তারা সকাল নয়টার মধ্যে অফিসে আসবেন। তারপর কাজ থাকলে বাইরে যাবেন।

কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মৌসুমী আক্তার, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্র সরকার, জনস্বাস্থ্য বিভাগের সহাকারী প্রকৌশলী জয়দেব দত্ত, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, আনসার ভিডিপি প্রধান ফারুক হোসেন, উপজেলা হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকৌশলী সানাউল হক, সমাজসেবা কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান, নির্বাচন কর্মকর্তা, একটি বাড়ি একটি খামার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আবদুল্লাহ রায়েজিদ, সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার ইব্রাহীম মিয়া, আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপক সুধাংশু দাস ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মামনু হোসেন খানকে যথাসময়ে অফিসে পাওয়া যায়নি।।

আরো পড়ুন>>>মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে মৃত্যু পথযাত্রীদের পাশে মুক্তা

মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, সব দফতরের কর্মকর্তাদের চিঠির মাধ্যমে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে সবাই যেন আগামীকাল থেকে নয়টার মধ্যে অফিসে হাজির হন। কেউ ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমরা মনে করি সরকারি কর্মকর্তাদের লেট লতিফ চরিত্র শুধু মণিরামপরে নয় সারা দেশের সব কর্মকর্তাদের এ দোষ আছে। সেবা খাতগুলো যদি এভাবে ঢিমে তেতালা জুতে চলে তাহলে দেশটাাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য আমরা যতই চিতকার করি না কেন দেশ কিন্তু থমেকে যাবে।

স্বাআলো/আরবিএ