ঝিনাইদহ: দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঝিনাইদহের শৈলকূপা পৌরসভা নির্বাচন। জমে উঠেছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা।
আগামী ১৬ জানুয়ারি এ পৌরসভায় প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
শৈলকূপা পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছেন ২৮ হাজার ৬৩২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৪ হাজার ১১৩ ও মহিলা ভোটার রয়েছেন ১৪ হাজার ৫১৮ জন।
শৈলকূপা পৌরসভায় মোট ৯টি ওয়ার্ডে এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন ৪ জন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ১২ জন।
মেয়র পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়র কাজী আশরাফুল আজম, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র খলিলুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জগ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আওয়ামী লীগ থেকে সদ্য বহিস্কৃত নেতা তৈয়বুর রহমান খান ও লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু জাফর।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত ২৯ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিলো। এরপর ৩০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হয়। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে শুরু হয় প্রচার-প্রচারণা। ৩ জানুয়ারি নৌকা ও জগ প্রতীকের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতে স্বাভাবিক করতে পুলিশ ১২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষকারীদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে ও হামলায় ৭ পুলিশ সদস্যসহ মোট ১০ জন আহত হয়। এরপর থেকেই পৌর এলাকাজুড়ে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন। সংঘাত এড়াতে পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তদারকি চালানো হচ্ছে।
দুই বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে আ.লীগ
অন্যদিকে, নির্বাচনী আচরণবিধি যাতে কেউ লঙ্ঘন করতে না পারে সে জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট দিয়ে করানো হচ্ছে তদারকি। তারপরও পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যে দিয়ে চলছে প্রচার-প্রচারণা।
প্রশাসনের কঠোর ভূমিকার কারণেই সংঘাত ও সংঘর্ষ এড়িয়ে ভোট যুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন প্রার্থীরা।
বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রার্থীরা দিনরাত ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ভোট প্রার্থনা করে চলেছেন। ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে দুপুর ২টা থেকে শুরু করে রাত ৮টা পর্যন্ত চলছে প্রার্থীদের বিরতিহীন প্রচার মাইক। বিভিন্ন মেয়র ও কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত প্রার্থীদের ঝুলন্ত পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে পৌর এলাকা।
প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করবে এমন যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে মেয়র নির্বাচিত করতে চান সাধারণ ভোটাররা। যদিও ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণের খবরে তারা কিছুটা স্বস্তিতে আছেন।
এদিকে, শৈলকূপা পৌরসভা নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ ও উপজেলা নির্বাচন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদ।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র্যাব, পুলিশ, আনসার ও ম্যাজিষ্ট্রেটসহ প্রশাসনের সকল স্তরের কঠোর নজরদারী রয়েছে বলে দাবি করেন জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান।
সাধারণ ভোটাররা বলেন, নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যেয়ে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ চেয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
স্বাআলো/এসএ