ঝিকরগাছায় অবৈধ ১৫ ইটভাটায় অঙ্গার পরিবেশ

ঝিকরগাছা: যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় ১৫টি অবৈধ ইটভাটায় পুড়ে অঙ্গার হচ্ছে পরিবেশ। এসব ইটভাটার কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। তাছাড়া, বৈধ ১১টি ইটভাটার মধ্যে অন্তত ৬টির নবায়ন নেই। তারপরও বছরের পর বছর দেদারছে চলছে ভাটাগুলো। অবৈধভাবে গড়ে তোলা এসব ভাটা বন্ধের দাবিতে সংশ্লিষ্ঠ এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের কাছে একাধিক আবেদনও করেছিলেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, কোনো নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে ২৬টি ইটভাটা। এসব ভাটার অদূরে রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, জনবসতি, ফসলের মাঠ ও হাইওয়ে সড়ক।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২৬টি ইটভাটার মধ্যে বৈধ কাগজপত্র আছে ১১টির। তবে এ ১১টি ভাটার বৈধ কাগজপত্র থাকলেও তা নবায়ন করা নেই অন্তত ৬ টির। এসব ভাটাতে ছোটবড় প্রায় দেড়শটি ট্রাক রয়েছে। ট্রাকগুলোর কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। অদক্ষ চালকদের কারণে ভাটার ট্রাকে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে।

তবে উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির তথ্যমতে, উপজেলাতে মোট ইটভাটা রয়েছে ২৩টি, যার মধ্যে বৈধ কাগজপত্র আছে ১৩টির। এর মধ্যে নবায়ন আছে ৮টির। অনেকেই আবার একটির নামে বৈধ কাগজপত্র করে একাধিক ভাটা গড়ে তুলেছেন। কেউ আবার উচ্চ আদালতের ভূয়া রিট দেখিয়ে চলছে দিনের পর দিন।

উপজেলার নির্বাসখোলা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক জানান, নাভারণ ব্রিকসের পাশে তার জমিতে এখন আর আগের মতো আবাদ হয় না। নির্বাসখোলা স্কুল এন্ড কলেজের সম্মুখে অবস্থিত নাভারণ ব্রিকস। নাভারণ ব্রিকসটি আগে শার্শা উপজেলায় ছিলো। ২০১২ সালে এখানে ভাটা তৈরির পর আর লাইসেন্স করেননি মালিক।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, ইটভাটার ট্রাকের কারণে এ অঞ্চলের গ্রামীণ রাস্তাঘাট অল্পদিনে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।

তিনি এসব অবৈধ ভাটাগুলো বন্ধের জন্য প্রশাসনের কোন হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি শাহজান আলী মোড়ল জানান, ব্যবসায়িক স্বার্থে সংগঠন করা। তবে সকলকে অবশ্যই ভাটা চালাতে হলে বৈধ কাগজপত্র করতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরাফাত রহমান জানান, লাইসেন্স না থাকলে ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হবে। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এবং অব্যহত থাকবে।

ঝিকরগাছার সব খবর পড়তে ক্লিক করুন

স্বাআলো/এসএ