প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের গণধর্ষণের ঘটনাটি সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করে। বিচারহীনতার সংস্কৃতির এই দেশে নারীদের ওপর সহিংসতা নতুন কোনো ঘটনা নয়। তনু, আফসানাসহ অধিকাংশ ধর্ষণের মামলাতেই এই বিচারহীনতার কারণে ধর্ষকরা শাস্তি পাওয়ার পরিবর্তে মাথা উঁচু করে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
একের পর এক ধর্ষণ ও খুনের বিচারিক প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা ও প্রশাসনিক ব্যর্থতা বিকৃত অপরাধীর মানসিকতার মানুষকে এমন নৃশংস ঘটনা ঘটাতে অভয় দিয়েছে। যার ফলে নারী নিপীড়ন, ধর্ষণ বেড়েই চলছে। আমাদের দেশে আইন আছে কিন্তু প্রচলিত আইনে ধর্ষণের বিচারে বরাবরই গড়িমসি, নেই কার্যকরী কোন প্রদক্ষেপ। এসব খামখেয়ালি এবং ক্ষমতার অতিরিক্ত চর্চাই দিন দিন নারীর ওপর ভয়াবহতার মাত্রা বাড়াচ্ছে। তাই ধর্ষণের বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে হবে।
রাজধানীর মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ও লেভেল ছাত্রী ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে প্রীতিলতা ব্রিগেডের বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন বক্তারা।৮ জানুয়ারি বিকেল চারটায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রীতিলতা ব্রিগেডের সমন্বয়ক সুমাইয়া সেতুর সভাপতিত্বে ও সংগঠক মৈত্রী ক্যাডেটের সঞ্চালনায় সমাবেশে জয়তী চক্রবর্তী, শায়লা হক ইমা, মুক্ত রেজোয়ান, মিখা পিরেগু, কে এম মুক্তাকি, আসমানী আশা, ফাতেমা মেঘলাসহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরো পড়ুন>>>পুলিশ হোক জাতির গর্বের বাহিনী
ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের আইন পাস হয়েছে। আইনটি পাশ হওয়ার পরেও বহু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আইনের শক্তি নির্যাতিতের পক্ষে আছে, এখন দরকার সেই আইনটি দ্রুত কার্যকর করা। দুর্বৃত্তরা দেখুক ধর্ষণের মতো জঘন্যতম অপরাধ করলে এখন আর রেহাই নেই। যে যাই বলুক আইনের মাধ্যমে অপরাধীকে শাস্তি দিলেই তবে অপরাধ বন্ধ হবে। এক শ্রেণির অতি পণ্ডিত আছেন তাদের মতে আইন করে এ অপরাধ বন্ধ হবে। আমরা তাদের সাথে একমত নই। আমরা মনে করি এই শ্রেণির মানুষ অবাধ যৌনাচারের পক্ষে। তারা ‘নেই কাজ তো খৈ বাজ’ অবস্থার কারণে যখন তখন মানবাধিকারের নামে বিবৃতি দিতে পারলেই যেন সব কিছু জয় হয়ে গেল ভাবেন।প্রীতিলতা ব্রিগেডের সভার ভাষ্যের সাথে আমরাও একমত প্রকাশ করে বলবো বিচারহীনতার সংস্কৃতি নারী সমাজের ওপর সহিংসতা বাড়াচ্ছে। আর এ কারণে ধর্ষকরা শাস্তি পাওয়ার বদলে মাথা উঁচু করে বেড়াচ্ছে।
স্বাআলো/আরবিএ