যশোরের মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের হলরুম ভাড়ার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করা হচ্ছে, প্রতিটি ভাড়ার টাকা রাজস্ব খাতে জমা দিয়ে ব্যাংকের চালান রশিদ সংরক্ষণের নিয়ম থাকলেও তার তোয়াক্কা না করে টাকা হজম করা হচ্ছে।
মণিরামপুরের সাবেক ইউএনও অতুল মণ্ডলের আমলে মাসিক সমন্বয় সভায় উপজেলা পরিষদের হলরুমের ভাড়া দেড় হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরিষদের বাইরের কেউ এই রুম ব্যবহার করতে চাইলে ইউএনও বরাবর আবেদনের মাধ্যমে প্রতিটি সভা বা সেমিনারের জন্য এই টাকা দিতে হবে। ভাড়ার টাকা রাজস্ব খাতে জমা দিয়ে ব্যাংকের চালান রশিদ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সভায়। গতবছরের জুন মাসে আলোচনা ছাড়াই হলরুমের ভাড়া দেড় হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ হাজার টাকা করা হয়। ইউএনও অফিসের সহকারী (নাজির) সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষর করে টাকা আদায় করেন। আদায়কৃত টাকা রাজস্ব খাতে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ভাড়া সংক্রান্ত সঠিক তথ্য দিতে পারেননি। তার কাছে ভাড়া সংক্রান্ত কোন রেজিস্ট্রার নেই, নেই কোন চালান রশিদ।
সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার কাছে দুইটা ভাড়ার তথ্য আছে। হলরুম ভাড়া নেয়ার জন্য যারা আবেদন করেছেন সেই আবেদন সংরক্ষণ করা হয়নি। আয় সংক্রান্ত কোন তথ্য লিখিত আকারে রাখিনি। দু’বারে ভাড়ার টাকা রাজস্ব খাতে জমা না দিয়ে হলরুমের প্রজেক্টর, সাউন্ড সিস্টেম স্থাপনসহ আনুসাঙ্গিক কাজ করানো হয়েছে।
আরো পড়ুন>>>মণিরামপুরে চা দোকানি খুন
মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম বলেন, জানামতে হলরুমের ভাড়া দেড় হাজার করে নির্ধারিত। ভাড়া নেয়ার আগে ইউএনও বরাবর দরখাস্ত দিতে হবে। আদায়কৃত ভাড়া রাজস্বখাতে জমা দিয়ে ব্যাংকের চালান সংরক্ষণ করবে ইউএনও অফিস। ভাড়া বাড়িয়ে পাঁচ হাজার টাকা করার বিষয়ে আমার জানা নেই।
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, মূখ্য কর্মকর্তা হিসেবে হলরুমের ভাড়া নির্ধারণের ক্ষমতা আমার আছে। যা আয় হয়েছে তা হলরুমের উন্নয়নে ব্যয় করা হয়েছে। দু’বারের ভাড়া যে ১০ হাজার টাকা আয় হয়েছে সেটা ব্যাংকে জমা দেয়া হবে।
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, বিষয়টি আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
স্বাআলো/আরবিএ