পুলিশ হেফাজতে থাকা আ.লীগনেতা বিপু ১৯ ঘণ্টা পর মুক্ত

যশোর: যশোরে ইমরান নামে এক পুলিশ সদস্যকে মারপিট ও অপহরণচেষ্টার অভিযোগে পুলিশ হেফাজতে নেয়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু মুক্তি পেয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ১৯ ঘণ্টা পর তিনি মুক্তি পান।

তবে তার সাথে হেফাজতে থাকা অপর তিনজনকে এখনো মুক্তি দেয়া হয়নি। তবে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই তিনজনের মধ্যে দুইজনকে মারপিট ও অপহরণচেষ্টার ঘটনায় মামলা দিয়ে আটক দেখানো হবে।

সোমবার রাত আটটার দিকে শহরের পুরাতন কসবায় নতুন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ইমরান নামে সাদা পোশাকে এক পুলিশ সদস্য তার বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় কতিপয় দুর্বৃত্ত সেখানে গিয়ে নারীর সাথে গল্প করতে দেখে তার ওপর চড়াও হোন। নিজের পরিচয় দিয়ে ও পরিচয়পত্র দেখিয়ে পুলিশ কনস্টেবল ইমরানের প্রতিবাদ করেন। কিন্তু তারা ক্ষ্যান্ত না হয়ে তাকে মারপিট করে এবং অপহরণ করে পাশের আবু নাসের ক্লাবে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে কাঠালতলায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ঘটনার সময় সেখানে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপুও ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা শহীদ ইমারানকে উদ্ধার ও আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ হাসান বিপুসহ চারজনকে হেফাজতে নেয়।

এরপর প্রায় ১৯ ঘণ্টা ধরে তারা পুলিশ হেফাজতে থাকলেও তাদের আটক করা হয়নি বলে জানান পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সর্বশেষ আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে যশোর কোতোয়ালি থানা থেকে বিপুকে মুক্তি দেয়া হয়।

কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম বলেন, পুলিশ সদস্যকে মারপিটের ঘটনায় বিপুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডেকে আনা হয়। আজ দুপুরের পর তিনি বাড়ি চলে গেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার সাথে যাদের ডেকে আনা হয়েছিলো তাদের মধ্য দুই/একজন অপরাধে জড়িত। ফলে মামলা দিয়ে তাদের আটক দেখানো হবে।

স্বাআলো/এসএ