সাতক্ষীরায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার: ঘর পাবে ১১৪৮টি পরিবার

মুজিববর্ষে সাতক্ষীরায় ১ হাজার ১৪৮টি পরিবার প্রথম ধাপে লাল সবুজের নতুন ঘর পেতে যাচ্ছেন। ভুমিহীন ও গৃহহীনরাই সরকারের দেয়া এসব ঘরে বসবাস করবেন।

আগামী ২০ জানুয়ারী দেশব্যাপী আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধনের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে এসব ঘরের নির্মাণ কাজ শেষের পথে। উদ্বোধনের পর চাবি তুলে দেয়া হবে দরিদ্র এসব মানুষের হাতে। যাদের জমি আছে ঘর নাই অথবা জমি ঘর কিছুই নাই তাদের চোখে মুখে এখন পাঁকা ঘরে বসবাস এবং বেঁচে থাকার নতুন স্বপ্ন।

প্রতিটি মুহুর্তে ঝুকিপূর্ণ ও উপকুলীয় জেলা সাতক্ষীরার দরিদ্র ও ভুমিহীন শ্রেণির মানুষের বসবাস গাং-খাল-নদীর চরে ও মৎস্য ঘেরের ধারে। এসব মানুষের জীবন জীবিকা শ্রম বিক্রি, মাছ ধরা বা ভ্যান চালানোর উপর নির্ভরশীল। সেইসব দরিদ্র মানুষ এবার ইটের তৈরি দুটি রুম, একটি বারান্দা, বাথরুম, রান্নাঘরসহ পাকা বাড়ি তাদের যেন বেঁচে থাকার নতুন আশা। ফলে “মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার-গৃহহীন থাকবে না একটি পরিবার” এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আশার আলো দেখতে শুরু করেছে হতদরিদ্র মানুষ। শুধু ঘর নয়, সঙ্গে পাচ্ছেন জমির দলিলও।

আরো পড়ুন>>>সাতক্ষীরা জেলা আ.লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

এতে দরিদ্র শ্রেণির মানুষ ঘর পেয়ে জানালেন খুশির কথা। আর দ্রুতগতিতে কাজ করতে হচ্ছে জানালেন নির্মাণের সাথে সংশ্লিষ্টরা।

সাতক্ষীরা জেলা দূর্যোগ কবলিত হওয়ায় নির্মাণ সামগ্রীর গুণগত মান ঠিক রেখে গৃহ নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে। প্রতিনিয়ত জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এসব ঘর পরিদর্শনে ছুটে চলেছেন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল।

অন্যদিকে প্রথম ধাপে নির্মাণকৃত ঘর প্রদান শেষ হলে দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু হবে। তবে এখনও সেই বরাদ্দ আসেনি। পাশাপাশি জেলার মধ্যে অন্তত ৮ হাজার মানুষের মুজিব বর্ষের ঘর প্রদানের জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসন। এ চাহিদা বাস্তবায়ন হলে মুজিব বর্ষে জেলায় দারিদ্রের সংখ্যা অনেকাংশে কমে আসবে।

স্বাআলো/আরবিএ