বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাই ও সুপারিশের দায়িত্ব বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ)। তাদের এই ক্ষমতার ওপর এক মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরো ৪ মাস বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ে এনটিআরসিএ কোন শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
নিয়োগ বঞ্চিত কয়েক শতাধিক নিবন্ধনধারী প্রার্থীর আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্ট এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট একটি রায় দিয়েছেন। ওই রায়ে কয়েক দফা নির্দেশনা ছিলো। তার মধ্যে একটি ছিলো সম্মিলিত মেধা তালিকা অনুযায়ী রিট আবেদনকারী এবং অন্যান্য আবেদনকারীদের নামে সনদ জারি করবে। কিন্ত ২ বছরেও রায় বাস্তবায়ন না করায় রিট আবেদনকারীরা আদালত অবমাননার আবেদন করেন। আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় ৩০ হাজার প্রার্থীর জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে এনটিআরসিএ। এরপর নিয়োগ থেকে বিরত থাকতে একটি আবেদন করে রিটকারীরা। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে এক মাসের জন্য শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করা থেকে বিরত থাকতে এনটিআরসিএকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সে নিষেধাজ্ঞা আরো ৪ মাস বাড়ানো হয়েছে।
আরো পড়ুন>>> প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কবে হবে? যা জানালেন অধিদফতরের ডিজি
এদিকে সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৮ হাজারের বেশি এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক পদ শূন্য আছে। যেগুলোর তথ্য গত ফেব্রুয়ারিতে সংগ্রহ করেছিল এনটিআরসিএ। গত ১০ মাসে শূন্য পদের সংখ্যা আরো কয়েকহাজার বেড়েছে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আবেদন গ্রহণ শুরু করার দাবি জানিয়ে আসছেন নিবন্ধিত প্রার্থীরা।
স্বাআলো/এস