বাগেহাটের চিতলমারী উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধে জোরদার পক্ষের হামলায় একটি পরিবারের নারীসহ ৭ জন জখম হয়েছেন। জখমিরা হলেন, সত্যজিৎ রানা (৫৫), বাসন্তী রানি রানা (৫০), মৃন্ময় রানা (২৭), দ্বিজেন্দ্রলাল গাইন (৫৬), ববিতা গাইন (৪৫), আলোমতি গাইন (৪৬) ও অঞ্জলী গাইন (৪০)।
রবিবার রাতে এ ঘটনার পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে সত্যজিতের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। বিষয়টি সোমবার দুপুরে জানাজানি হয়।
যশোর-মাগুরা সড়কে বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ: নিহত ১, আহত ৩
চিতলমারি থানা পুলিশ জানায়, উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের শ্যামপাড়া গ্রামের একটি বিরোধপূর্ণ জমিতে জিন্নাত আলী মীরের নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন লাঠিয়াল জোরপূর্বক ঘর তুলতে যায়। এ সময় গাইন সরোজ কুমারের লোকজন বাঁধা দিলে জিন্নাত মীরের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়।
আহত দ্বিজেন্দ্রলাল গাইন বলেন, জিন্নাত আলী মীর আমাদের ভোগ দখলীয় পৈত্রিক জমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে আমি ও আমার বড় ভাই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি। এছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিকে অবহিত করি। তারা ওই জায়গায় জিন্নাতকে ঘর তুলতে নিষেধ করেছেন। তাদের নিষেধকে উপেক্ষা করে জিন্নাত আলী ওই জায়গায় ঘর তোলে ও আমাদের ৭ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে।
হামলার ঘটনা অস্বীকার করে জিন্নাত আলী মীর বলেন, ওদের শরীক বিধান গাইনের কাছ থেকে আমার ক্রয়কৃত জমির ওপর দোকান ঘর নির্মাণ করতে গেলে দ্বিজেন গাইন আমাদের বাঁধা দেয় এবং হামলা করে। হামলায় আমাদের ২-৩ জন লোক আহত হয়েছে।
চিতলমারী থানার ওসি মীর শরিফুল হক বলেন, ঘর তৈরির খবর শুনে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থালে পুলিশ পাঠিয়ে তা বন্ধ করা হয়েছে। আর আহতরা অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্বাআলো/এসএ