মাগুরায় বিচিবিহীন কুল চাষে নাসিরের সাফল্য

দেশি কুলের চেয়ে বিচিবিহীন কুলের স্বাদ বেশি। সাধারণত দেশি কুলের ভেতরে আঁটি বা বিচি থাকে। কিন্তু এ কুলের মধ্যে কোন আঁটি বা বিচি নেই। এ কুলের রঙ অনেকাংশে লাল আবার কিছুটা সবুজ ।

মাগুরা সদরের রাউতড়া গ্রামে উদ্যোক্তা চাষি নাসির বাণিজ্যিকভিত্তিতে চাষ করেছেন এই বিচিবিহীন কুলের চাষ।

নাসির দাবি করেন বাংলাদেশে এই প্রথমবারের মতো তিনিই এ জাতের কুলের প্রথম চাষি। তিনি একজন মিশ্র ফল চাষি। থাই পেয়ারা, ড্রাগন, ভিয়েতনাম নারিকেল, কমলা, মালটা, বল সুন্দরি কুল, বাউ কুল, কাশ্মীরি কুল ও আগাম টক কুল চাষ রয়েছে তার । তার পাশাপাশি এবার তিনি প্রথমবারের মতো চাষ শুরু করেছেন বিচিবিহীন কুল। যা ইতোমধ্যে সাড়া ফেলেছে এলাকায়। দূর-দূরান্ত থেকে তার বাগান দেখতে প্রতিদিন মানষ ভিড় করছে এবং চারা সংগ্রহ করার জন্য আসছেন অনেকে।

নাসির জানান, মাগুরা হর্টিকালচারের সহযোগিতায় তিনি সিডলেস কুল অর্থাৎ বিচি বিহীন কুল চাষ করেন। মাগুরা হর্টিকালচার ভারত থেকে চারা সংগ্রহ করে তাকে এ চাষে উদ্ধুদ্ধ করেছে। ৪ একর জমিতে তিনি ২ হাজার চারা রোপণ করেন। প্রতি একর জমিতে ৩০ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।

আরো পড়ুন>>>তিস্তা পাড়ের জেলেদের দুর্দিন

আবহাওয়া যদি অনুকুলে থাকে তবে চলতি মৌসুমে ১৮-২০ লাখ টাকার ফল বিক্রি হবে। মে মাসের শুরুতে এ চারাগুলো রোপণ করেন। রোপণের সাথে সাথে শুরু করেন বাড়তি পরিচর্যা। পাশাপাশি হর্টিকালচার ও মাগুরা কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে বাগানের পরিচর্যা আরো বাড়ান। চাষে জৈব সারের পাশাপাশি টিএসপি ও পটাশ সার ব্যবহার করেন। আস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে গাছে ফুল আসতে শুরু হরে। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ফল আসে। ফেব্রুয়ারি মাসে ফল বিক্রি শুরু করতে পারবেন বলে বলে আশা করছেন।

স্বাআলো/আরবিএ