৭০ কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার: আসল চোরাচালানী কারা?

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ৭০ কোটি টাকার সাপের বিষসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। অভিযানকালে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় আরো দুজন।

গ্রেফতারকৃতরা হলো ফতুল্লার মোস্তফা কামাল (৫৫) ও চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রাগপুরের মিজানুর রহমান মধু (৪৩)।

রবিবার রাতে ফতুল্লার ইসদাইর এলাকা থেকে র‌্যাব ১০-এর একটি দল ঢাকা থেকে এসে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। র‌্যাব প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানতে পেরেছে গ্রেফতারকৃতরা আন্তর্জাতিক চোরাকারবারি দলের সক্রিয় সদস্য। তারা বিদেশ থেকে অবৈধভাবে সাপের বিষ এনে বিক্রি করেন। তাদের মধ্যে মিজানুর রহমান মধুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

সাপের বিষ আটকের ঘটনা এটি নতুন কোন বিষয় নয়। শুধু সাপের বিষ নয়, এভাবে সোনা ও মাদকসহ বিভিন্ন পণ্য চোরাচালান হচ্ছে এবং তা ধরাও পড়ছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো যে দুজন ধরা পড়েছে তারা বিত্তবান ঘরের মানুষ বলে মনে হয়নি। যারা পলাতক তারাও যে বিত্তবান তাও না। তাহলে ৭০ কোটি টাকার বিষ তারা পাচার করে আনলো কি করে। কি করেই বা তারা আন্তর্জাতিক চোরাকারবারী দলের সদস্য হয়। বিত্ত বৈভবের মালিক না হলে ৭০ কোটি টাকা পাবে কোথায় তারা। নিশ্চয় এ টাকা অন্য কারো। তারাই এই বিষের মূল চোরাচালানী। তারাই আন্তর্জাতিক চোরাকারবারী দলের সাথে যুক্ত। অথচ তারা কলঙ্ক থেকে দূরে থাকছে। যারা ধরা পড়েছে এবং পালিয়েছে তারা শ্রমিক হিসেবে বাহক মাত্র। তারা পেটের দায়ে আয়ের উদ্দেশ্যে চোরাচালানীর শ্রমিক হয়েছে। আর তাই শত শত মোস্তফা কামাল ও মিজানুর রহমান মধুদের আকট করলে চোরাচালান বন্ধ হবে বলে মনে হয় না।

আরো পড়ুন>>>ঠাটবাটে জমিদার পেশাহীনদের বেশিরভাগ চাঁদাবাজ

মাঝে পড়ে তাদের পরিবারের আয়ের মানুষটি ধরা পড়ায় ওই পবিবারের সদস্যদের মানবেতর পরিস্থিতির শিকার হতে হবে। তাই বলে আমরা কামাল-মধুদের আটকের বিপক্ষে নই। আমাদের সার কথা হলো চোরাচালান বন্ধ করতে হলে চোরাচালানে পুঁজি বিনিয়োগকারী কোটিপতিদের ধরতে হবে। খুঁজে বের করতে হবে সেই সব বর্ণচোরা অসৎ ব্যবসায়ীদের। তারাই আমাদের সমাজপতি। নিজেদের অপরাধ ঢাকতে তারা মঞ্চ দখল করে দেশপ্রেমের গান শোনান। হেন অপরাধ নেই যা তারা করে না। এদের ধরলে চোরাচালান বন্ধ হবে। রেহাই পাবে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ।

স্বাআলো/আরবিএ