করোনা টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী, প্রথম দিন পাবেন ২০-২৫ জন

বাংলাদেশে নতুন করোনাভাইরাসের টিকা আসার পর প্রথম দিনে ২০ থেকে ২৫ জনের ওপর তা প্রয়োগ করা হবে।

আগামী ২৭ থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে টিকা প্রয়োগ শুরু হতে পারে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান।

ভারত থেকে উপহার হিসেবে বৃহস্পতিবারই সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ ডোজ টিকা আসছে বাংলাদেশে।

বাংলাদেশ সরকারিভাবেও ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা কিনছে, যার প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ টিকা ২৫ জানুয়ারির মধ্যে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উপহারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও কাল আসছে করোনার টিকা

শুরুতে ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে টিকাদান শুরুর পরিকল্পনা হলেও টিকা আগে পাওয়ায় প্রয়োগের সময়ও এগিয়ে আনা হচ্ছে।

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আবদুল মান্নান জানান, টিকা বিতরণের পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই করে ফেলা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রথম দিন চিকিৎসক, নার্স, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, পুলিশ, সেনাবাহিনী, প্রশাসন, সাংবাদিকদের একজন করে প্রতিনিধিকে টিকা দেয়া হবে।

‘আমরা প্রথম দিন ২০ থেকে ২৫ জনকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা করেছি। আমরা কাজ করছি এই ২০-২৫ জন কারা হবেন।’

টিকা প্রয়োগ শুরুর দিনক্ষণের বিষয়ে সচিব বলেন, আমাদের একটা সম্ভাব্য দিন ঠিক করা আছে ২৭ অথবা ২৯ জানুয়ারি। তবে এটা চূড়ান্ত নয়।

‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন। ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে, এটাই প্রাথমিক পরিকল্পনা।’

মান্নান বলেন, টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালকে নির্বাচন করা হয়েছে। সেখানে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে টিকা দেয়া হবে।

‘প্রথমদিন টিকা দেয়ার পরদিন ড্রাই রান বা টেস্ট হিসেবে এই টিকা দেয়া হবে। তারপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুযায়ী, এক সপ্তাহ অপেক্ষা করব। আমরা দেখব টিকা নেয়ার পরে তাদের মধ্যে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে কি না।’

প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে সারাদেশে টিকা বিতরণ শুরু হবে জানিয়ে সচিব বলেন, সরকারের কেনা টিকা জেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেবে বেক্সিমকো। আর ভারত সরকারের উপহার হিসেবে আসা টিকা সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় জেলা পর্যায়ে পৌঁছানো হবে।

তিনি জানান, আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জেলা-উপজেলা এবং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে টিকা দেয়া হবে।

টিকা সংরক্ষণের বিষয়ে মান্নান বলেন, উপহার হিসেবে পাওয়া টিকা ঢাকায় কোল্ড চেইনে আমরা রাখার চেষ্টা করছি। ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জনদের কাছে পাঠানো হবে। এটা ইপিআই কর্মসূচির আওতায় যেভাবে টিকা পাঠানো হয়, সেভাবে পৌঁছে দেয়া হবে।

স্বাস্থ্যসচিব বলেন, এ পর্যায়ে দেশের বেসরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হবে না।

স্বাআলো/এসএ