চৌগাছা: যশোরের চৌগাছায় কৃষি বিভাগ কর্তৃক জব্দকৃত ৫ হাজার কেজি নকল দস্তা সার গোডাউন থেকে সরিয়ে ফেলার অভিযোগে এক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকৌশলী এনামুল হকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের দামোদর বটতলায় মেজবাহ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আশিকুর রহমানের নিকট থেকে এই জরিমানার টাকা আদায় করা হয়। এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) নারায়ণ চন্দ্র পাল, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দিনসহ পুলিশ ও আনছার সদস্যরা তার সাথে ছিলেন।
চৌগাছায় ১৫০ কেজি নকল দস্তা ধ্বংস, ভেজাল সন্দেহে বিপুল পরিমাণ সার জব্দ
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রইচ উদ্দিন জানান, গত ১৮ জানুয়ারি চৌগাছা বাজারে অভিযান চালিয়ে মেসার্স অপু ট্রেডার্সে থাকা ১৫০ কেজি নকল দস্তা সার ধ্বংস করা হয়। এ সময় নকল সন্দেহে সার ব্যবস্থাপনা আইন ২০০৬ এর আওতায় দামোদর বটতলার মেসার্স মেজবার ট্রেডার্সের গুদামে থাকা ৫ হাজার কেজি দস্তা সার এবং শহরের কামাল এন্টার প্রাইজে থাকা ৫ হাজার কেজি দস্তা সার আগামী ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বিক্রি বন্ধ রাখতে বলা হয়। এ সময়ে ওই সার পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে বলে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। ল্যাবে পরীক্ষার পর এই সার বিক্রি বা ধ্বংসের সিদ্ধান্ত দেয়া হবে বলে তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু ২০ জানুয়ারি বুধবার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গিয়ে দেখতে পান মেসার্স মেজবার ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ল্যাব টেস্টের রেজাল্ট আসার আগেই ওই সার তার গুদাম থেকে সরিয়ে ফেলেছেন। যা সার ব্যবস্থাপনা নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এর প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকৌশলী এনামুল হক বলেন, অনিয়মের মাধ্যমে ভেজাল ও নকল সার উৎপাদন ও বিক্রি করে যারা দেশের কৃষক ও জনগণের ক্ষতি করছে তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সকল অপরাধীরা কোনভাবেই ছাড় পাবে না।
স্বাআলো/এসএ