ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টাইগারদের হ্যাটট্রিক সিরিজ জয়

মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। মিরাজের ৪ উইকেট শিকারের দিনে ১৪৮ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ৭ উইকেটের বড় জয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নিলো বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন তামিম ইকবাল।

প্রথমে ২০১৮ সালের জুলাইতে প্রতিপক্ষের মাটিতে ২-১, একই বছর ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে ২-১, এবার ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত হয়ে গেলো সিরিজের ট্রফি; সবমিলিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেললো বাংলাদেশ দল।

মিরপুরে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ। শুরুতেই সফরকারীদের চেপে ধরে বাংলাদেশি বোলাররা। মুস্তাফিজুর রহমানের হাত ধরে আসে প্রথম উইকেট। মেহেদী হাসান মিরাজের তালুবন্দী হয়ে ফিরে যান সুনীল অ্যামব্রিস। ১০ রানে প্রথম উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। প্রথম ১০ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ উইকেট হারিয়ে কেবল ২২ রান সংগ্রহ করে।

আরো পড়ুন>>> লিটনের বিদায়, তামিমের সাবধানী শুরু

১৪৮ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মিরাজ ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ২৫ রানে ৪টি উইকেট শিকার করেন। মুস্তাফিজ ২টি ও সাকিব নেন ২টি উইকেট। হাসান একটি উইকেট পান।

১৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে সাবলীল ব্যাটিংয়ে শুরু করেন লিটন দাস ও তামিম ইকবাল। লিটনের দারুণ শুরুর ইনিংসের অপমৃত্যু ঘটে আকিলের এক দুর্দান্ত ডেলিভারিতে, এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন। দৃষ্টিনন্দন ৪টি চারের সাহায্যে ২৪ বলে ২২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। নাজমুল হোসেন শান্ত ২৬ বলে ১৭ রান করে বিদায় নেন জেসন মোহাম্মদ শিকার করে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সপ্তম ও ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৮তম অর্ধশতক পূরণ করে পরের বলেই রেইমন রেইফারের শিকার হন তামিম। ৭৫ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তার ব্যাট থেকে আসে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা। জয় থেকে ৪০ রান দূরে থাকতে সাজঘরে ফিরে যান তামিম। ভেঙে যায় সাকিব-তামিমের ৩২ রানের জুটি।

চতুর্থ উইকেটে সাকিব ও মুশফিকুর রহিম রানের জুটি গড়েন। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৫০ বলে ৪৩ রান। তার ইনিংসে ছিলো.৪টি চার। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ৮ রানে। তারা গড়েন ৪০ রানের জুটি।

বাংলাদেশ পায় ৭ উইকেটের বড় জয়। এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করলো বাংলাদেশ।

স্বাআলো/এস